মাগুরায় বিভিন্ন ইট ভাটায় মোবাইল কোর্ট, জরিমানা ভাঙচুর ও বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি মাগুরা জেলা শাখার আয়োজনে মাগুরা সদর উপজেলার সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন ইটভাটার মালিকও শ্রমিকেরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মো. মাসুদ হাসান খান (কিজিল), সাধারণ সম্পাদক মো. তারেক হুসাইন (তুরান), এছাড়াও উপদেষ্টা মন্ডলীর মো. আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান, আলহাজ্ব মীর গোলাম কুদ্দুস, মো. টিপু মোল্যা উপস্থিত ছিলেন।
ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মো. মাসুদ হাসান খান (কিজিল) বলেন, প্রায় ৩৫/৪০ বছর ধরে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ইটভাটার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি, দেশের স্থায়ী স্থাবর তৈরিতে ইটের ব্যবহারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছি। সরকারের নির্দেশিত বায়ু দূষণ রোধে আধুনিক প্রযুক্তি ডোজগজাগ স্থাপন করেছি যা জ্বালানি সাশ্রয়ী ও বটে, বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে অন্যান্য ক্ষেত্র বিশেষের তুলনায় ইটভাটার বায়ু দূষণ মাত্র ৫-১০%, তিনি বলেন এই ইটভাটা শিল্পে প্রায় ৫০ লক্ষ শ্রমিক কর্মরত আছে এবং তাদের পরিবার সম্পৃক্ত করলে ২ কোটি মানুষের রুটি রুজি এখান থেকে আসে। ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে তারা সবাই পথে বসে যাবে, এছাড়াও প্রতিটি ইটভাটার বিপরীতে এক কোটি টাকার উপরে ব্যাংক লোন আছে যাহা ৮ হাজার কোটি টাকা পরিমাণ, এই সকল ঋণ পরিশোধ করা সম্ভবপর হয়ে পড়বে।
সাধারণ সম্পাদক তারেক হোসেন তুরান বলেন, ইট ভাটার মালিকগণ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার অধিক রাজস্ব দিয়ে থাকেন, এ বিষয়টাও সরকারকে নজর দিতে হবে। তিনি আরো বলেন ডাম চিমনি, ফিক্সড চিমনি ও লাকড়ি দিয়ে পোড়ানো ইটভাটা বন্ধের সিদ্ধান্তে মাননীয় উপদেষ্টার সাথে আমরাও একমত পোষণ করছি। কিন্তু বৈধ পদ্ধতির জিগজাগ ইটভাটায় জরিমানা ও ভাঙচুর করছে কেন। ২০১৩ সালে জিকজাক ইটভাটার নিয়ন্ত্রন আইনে জিগজাগ ভাটার জন্য উক্ত আইনের ধারা মেনে ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিপত্র জারির মাধ্যমে পরিচালনা করার সুযোগ প্রদানের আবেদন জানান এবং তারা সাতটি দাবী তুলে ধরেন, উল্লেখিত দাবি-দাওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আলোচনায় না বসলে আগামী ১১ মার্চ ২০২৫ তারিখে প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি ও ঈদের পরে ঢাকায় মহাসমাবেশ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান করার ঘোষণা দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।