অনলাইন ডেস্কঃ নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় পুলিশ দম্পত্তির বাসা থেকে ৬ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ সদস্য স্বামী ও তার স্ত্রী’র বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ২২ জুলাই বিকেলে ‘ক’ সার্কেলের পরিদর্শক হাওলাদার মোঃ সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে এজাহারটি দাখিল করা হলেও গভীর রাতে তা পরিবর্তন করা হয়েছে। মামলার প্রথম এজাহারে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী বিলকিস (৩০) কে আটক ও স্বামী রুহুল আমিনকে পলাতক দেখানো হয়। তবে রাত ১২টার আগে ওই মামলা পরিবর্তন করে পুলিশ সদস্য রুহুল আমিনকে বাদ দিয়ে নতুন করে মামলা রেকর্ড হয়েছে।
এদিকে কনস্টেবলের স্ত্রী বিলকিস (৩০) কে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ। মহানগর হাকিম মোঃ শাহীদুল ইসলাম তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খুলনা’র উপ পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, প্রথম এজাহারে কিছুটা ভুল হওয়ায় তা পরিবর্তন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২২ জুলাই সকাল ৯টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা ২য় ফেজে জনৈক হাসানুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ বিলকিস বেগমকে গ্রেফতার করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বিলকিস খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)’র কনস্টেবল ওর্য়ালেস অপারেটর রুহুল আমিনের স্ত্রী। এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বার্তায় পুলিশ সদস্য ও তার স্ত্রীকে মামলায় আসামি করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার ওই সংবাদ স্থানীয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
পুলিশ সদস্য রুহুল আমিন জানান, ঘটনার সময় আমি ডিউটিতে ছিলাম। পরিকল্পিতভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছে। তাছাড়া আমার কাছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। দিতে অস্বীকার করায় বিকেল ৩টার দিকে আমার স্ত্রীকে মামলা দিয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে টাকা দাবির বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নাকচ করেছেন।