ঢাকাসহ দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ৩০ ডিসেম্বর অনলাইনে লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
করোনার কারণে এ বছর স্কুলগুলো থেকে ভর্তি ফরম বিতরণ না করার সিদ্বান্ত নিয়েছে সরকার। শুধু অনলাইনে (https://gsa.teletalk.com.bd) আবেদন করা যাবে।
বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো আবেদনের তারিখ নিজেদের মতো ঠিক করবে। আবেদন ফি ধরা হয়েছে ১৫০ টাকা। ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
নিয়মাবলী
ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চার শতাধিক সরকারি বিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা মহানগরের ৪৪টি বিদ্যালয় আছে। এগুলোতে মাউশির অধীন কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় ভর্তির কাজটি হয়। এবারও বিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছ বা গ্রুপ (এ, বি ও সি) করে ভর্তি করা হবে।
আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী সর্বাধিক পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দ দিতে পারবে। এখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে। এত দিন একজন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের একটি বিদ্যালয়কে বেছে নিতে পারত।
এতো দিন সারা দেশের স্কুলগুলোয় প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলেও দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে। আর নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলের (জিপিএ) ভিত্তিতে।
কিন্তু করোনার কারণে এ বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হচ্ছে না। তাই জেএসসি ও জেডিসির ফলের ভিত্তিতে নবম শ্রেণিতেও শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ নেই।
বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারিতে ভর্তির ৫ শর্ত-
প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি শর্ত মেনে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় লটারির মাধ্যমে ভর্তির কাজটি বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো।
১. পরিস্থিতির কারণে জনসমাগম এড়াতে লটারি প্রক্রিয়াটি ফেসবুকে লাইভে অথবা অন্য যেকোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. লটারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এ দায়িত্বে থাকবে সরকারের ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটি, বিদ্যালয়েরর ভর্তি পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক প্রতিনিধি, ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধি। প্রতিনিধিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. লটারির তারিখ নির্ধারণ করে ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটিকে অবহিত করতে হবে।
৪. স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লটারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৫. লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়াটি যেন কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।