সংকট যেন পিছু ছাড়ছে না হেফাজত ইসলামের। একের পর এক কর্মকান্ডে চ্যালেঞ্জে পড়তে হচ্ছে সংগঠনটিকে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা সংগঠনটির কেন্দ্র থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের এতো নেতা আগে কখনো গ্রেপ্তার হয়নি। আর এসব কারণেই আইনি লড়াই করাই সংগঠনটির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
স্বাধীনতার অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসার বিরোধিতা করে সংগঠনটি সাম্প্রতিক সময়ে মাঠে নামে। পরে তাদেরই হরতাল ঘিরে ব্যাপক নাশকতার জেরে নেতাকর্মীর ওপর নেমে আসে শতাধিক মামলা। এরপরই যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ড। এখানেই শেষ নয়, সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত হন বাবুনগরীসহ ৪৩ কেন্দ্রীয় নেতা। এরপর মামলা-গ্রেপ্তারে সংগঠনটি এখন বলা চলে একেবারেই নিরব।
এমন পরিস্থিতিতে গ্রেপ্তার এড়াতে অনেকে নেতাই দিয়েছেন গা ঢাকা। আবার কেন্দ্রীয় এক নেতা বিভিন্ন অভিযোগ তুলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। ভেতরে ভেতরে অনেকেই আবার বিরোধিতা করে সক্রিয় হচ্ছে আরেক অংশ।
সূত্র বলছে, বর্তমান পেক্ষাপটে হেফাজতের যে কর্মসূচি ছিলো এবং সেগুলোকে কেন্দ্র করে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেটি নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। তবে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ মূল নেতারা মামুনুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং সরকারবিরোধী বেপরোয়া কর্মসূচির নাশকতায় ভুল স্বীকার করার পক্ষে নন। তাঁরা ভাবছেন, এমন পদক্ষেপ নিলে সংগঠনটি জনপ্রিয়তা হারাবে। এমন উভয় সংকটের চাপে হেফাজতের নেতৃত্ব।
কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়েজী বলেন, ‘গত চার-পাঁচ দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের দেড়’শ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি সাংগঠনিকভাবে এসব মামলা আমরা মোকাবেলা করব।’