দাঁতের ফাঁকে কিংবা মাড়িতে ব্যথা ও শিরশির হওয়ার সমস্যা অনেকেরই দেখা দিতে পারে। সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ না করা ও দাঁতের ফাঁকে খাদ্যকণা আটকে থাকার কারণে এ সমস্যা হতে পারে।
তাই দাঁত ও মাড়ির সঠিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। দাঁত পরিষ্কারের সঠিক নিয়ম জানা, চিনির তৈরি খাবার না খাওয়া, দাঁতে ব্যথা, মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া এবং মুখে নানা ধরনের ঘা ও শিরশির অনুভূতি হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মাড়িতে ব্যথা-শিরশির হওয়ার কারণ
দাঁতের ফাঁকে কিংবা মাড়িতে ব্যথা ও শিরশির অনুভূতি হতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি বা দাঁতে শিরশির অনুভূতি হওয়া একটি প্রচলিত রোগ। এটি অনেক সময় তীব্র আকার ধারণ করতে পারে, যা আপনার স্বাভাবিক জীবনযাপনে ব্যাঘাত ঘটায়।
আমরা খালি চোখে দাঁতের যে অংশ দেখতে পাই তার নাম এনামেল। একে দাঁতের আবরণ বলা যেতে পারে। এটি দেহের সবচেয়ে শক্ত আবরণ। বিভিন্ন কারণে এ এনামেল ক্ষয়ে গিয়ে দাঁতে শিরশির অনুভূতি বা সেনসিটিভিটি তৈরি হয়। এ সময় গরম, ঠাণ্ডা, মিষ্টি, টকজাতীয় খাবার খেলে দাঁতের ফাঁকে কিংবা মাড়িতে ব্যথা ও শিরশির অনুভব হয়।
ভুলভাবে দাঁত ব্রাশ করা, শক্ত টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজা, অনেক সময় একটি দাঁতের সঙ্গে আরেকটি দাঁত শক্তভাবে লেগে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এমনটি হতে পারে।
এ ছাড়া মাড়ির ক্ষয়ের কারণে মাড়ির বিভিন্ন ধরনের অসুখের কারণেও সেনসিটিভিটি হয়। আর কোল্ড ড্রিংস, ঠাণ্ডা খাবার ও অ্যালকোহল খেলেও এ সমস্যা হতে পারে।
আর যে কোনো দুর্ঘটনায় দাঁত যদি ভেঙে যায়, শক্ত খাবার খাওয়ার, দাঁতের বিভিন্ন কাজের সময় এ রকম হতে পারে। যেমন– রুট ক্যানেল, ক্রাউন প্লেসমেন্ট এবং দাঁতের রেসটোরেশন ইত্যাদি।
প্রতিরোধে করণীয়
দাঁতের যে কোনো ধরনের সমস্যায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়া সঠিক উপায়ে দাঁত ব্রাশ করা, ফ্লোরাইড সমৃদ্ধ টুথপেস্ট ব্যবহার, কেমিক্যালযুক্ত খাবার এড়ানোর চেষ্টা এবং নরম ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত।
দাঁতের শিরশির বা সেনসিটিভিটির সমস্যা যদি বেশি হয় তখন চিকিৎসকরা ফিলিং করার পরমর্শ দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে জিআই রেসটোরেশন খুব ভালো কাজ করে।
লেখক : ডা. মো. আসাফুজ্জোহা রাজ , রাজ ডেন্টাল সেন্টার, কলাবাগান, ঢাকা