মিডিয়া হলো পুলিশের আয়না। আমরা ভালো কাজ করলে মিডিয়ায় তার প্রশংসা করবেন, আবার খারাপ কাজ করলে সেগুলো ধরিয়ে দিবেন। তাহলে আমরা সেভাবে এগিয়ে যেতে পারবো। সমাজের দর্পণ সাংবাদিকগণ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তাদের সহযোগিতায় আমরা এগিয়ে যেতে চাই। জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নবাগত পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ এ কথা বলেন। চট্টগ্রামে যোগদানের পর এটিই পুলিশ সুপারের প্রথম সংবাদ সম্মেলন।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। পুলিশ সদস্যদের অপরাধে জড়ানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন, কোনো পুলিশ সদস্য যদি অপরাধ করে থাকে তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোপূর্বে আমাদের পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্য অপরাধ-অনিয়মে জড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদস্যের কেউ অপরাধে জড়ালে তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে। এ কাজের দায়ভার তার বিভাগ কখনও নেবে না।
চট্টগ্রাম নিয়ে পুলিশ সুপারের রোডম্যাপের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মিশন হলো আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, জনগণের সেবা নিশ্চিত করা। এসব সেবাগুলোর কাজ করতে গেলে আমাদের রেগুলার কিছু কাজ করতে হয়। এর মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি নিয়েও কাজ করতে হয়। এছাড়া রাষ্ট্রের কিছু স্পেশাল কাজ (এসাইনমেন্ট) করতে হয়। যার সঙ্গে মিডিয়াও সংযুক্ত। যেমন, একটি জায়গায় গার্মেন্টসে আগুন লেগেছে, সেটা হঠাৎ করে হয়। এছাড়া নির্বাচন একটা স্পেশাল কাজ। এটা মিডিয়াসহ সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হয়।
নির্বাচনের সময়কে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হাটহাজারী-সাতকানিয়া-বাঁশখালী-সীতাকুন্ড এ চারটি জায়গা নিয়ে কোনো কিছু ভাবা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলার গুরুত্বপূর্ণ জোন আছে সেগুলোর ডাটা আমি কালেক্ট করেছি এবং আরও করবো। শুধু নির্বাচন নয় যেকোন সময়ে, সমস্যা হয়েছে। সেই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে এবং ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলো চিহ্নিত করা হবে। সেভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জায়গায় অবৈধ অস্ত্র আছে। তবে চট্টগ্রাম যেহেতু স্পেশাল জায়গা, সেহেতু অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সচেষ্ট থাকবো।
ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বলেন, যতদিন যাচ্ছে ততই অপরাধের ধরণ পাল্টাচ্ছে। সবাই সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনেক ক্লু-লেস মামলা উদ্ধার করেছি। কারও মোবাইল হারিয়ে গেছে আমরা উদ্ধার করে দিয়েছি। অপরাধ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আমরা অনেকটা অ্যাডভান্সড হয়েছি, আমরা আরও প্রগতিশীল হবো।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) সুজন চন্দ্র সরকার, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. এমরান আলী।