চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে জমি দখলের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রতিপ। এমন অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
খুলনা প্রেসকাবে শনিবার দুপুুরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তকদির হোসেন বাবু।
লিখিত বক্তব্যে তকদির হোসেন বাবু বলেন, গত ২৪ অক্টোবর খুলনা প্রেস কাবে মোঃ রেজাউল করিম রাজার পে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শামীম। তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাড়ি থেকে উচ্ছেদ ও জমি দখল করে আসছে তকদির হোসেন বাবু । সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা মোঃ আশরাফুল ইসলামের মতার দাপটে আমি তাদের কথিত জমিগুলি দখল করে নিয়েছি। রেজাউল করিম আমাদেরকে জড়িয়ে যেসব অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্নœ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। মোঃ রেজাউল করিম রাজা’র নামে শামীম যে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেছে এবং যে কাহিনী বলেছে সংবাদ সম্মেলনে। তার সঙ্গে রেজাউল করিম রাজা কোনভাবে একমত নয় এবং এই বিষয়ে সে কোনকিছুই জানে না। তার নাম ব্যবহার করে, মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করেছে শামীম ও আব্দুল কুদ্দুস। তিনি এই সংবাদ সম্মেলনের ব্যাপারে দুঃখ প্রকাাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, ১১৩নং রোডে ২৪নং বাড়িটি যেটি জেলা প্রশাসক কর্তৃক ঘোষিত নিলাম ক্রেতা মালিক বেগম ফজিলাতুন্নেসার নিকট থেকে আমি ক্রয় করি এবং আমার পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছি। যা অনেকেই জানেন। রোড নং-১১৩, প্লট নং-১২/১ জমিটির প্রকৃত মালিক আপনাদেরই বিজ্ঞ সাংবাদিক শ্রদ্ধেয় সাহাবুদ্দিন সাহেবের। আমার জানামতে সেই জমি নিয়ে গাজী মোস্তাক আহম্মেদ এর সাথে সাহাবুদ্দিন সাহেবের মামলা চলমান। রোড নং-১১, প্লট নং-১৯ যেটি জেলা প্রশাসক কর্তৃক ঘোষিত নিলাম ক্রেতা মালিক কাজী সাঈদুর রহমান। বর্তমান মালিক মাহাবুব ব্রাদার্স। রোড নং-১৮২, বাড়ি নং-২৬ যেটি জেলা প্রশাসক কর্তৃক ঘোষিত নিলাম ক্রেতা মালিক শাহানা আলম। রোড নং-১৮২, বাড়ি নং-৬৭ হাউজিং কর্তৃক বরাদ্দকৃত মালিক সালজার রহমান। রোড নং-১৮৩, প্লট নং-৩৯ যেটি জেলা প্রশাসক কর্তৃক ঘোষিত নিলাম ক্রেতা মালিক মোঃ শামসুল হক, বর্তমানে ক্রেতা মালিক অধ্যাপিকা তাহমিনা সুলতানা।
তিনি আরো বলেন, আমি জন্মলগ্ন থেকে খালিশপুরে বসবাস করি। সেই সুবাদে বর্তমান নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলামের সাথে আমার পরিচয় ছোটবেলা থেকে। ছাত্র রাজনীতি থেকে তাকে আমি চিনি ও জানি। আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আশরাফুল ইসলাম এর নাম জড়িয়ে যে ভিত্তিহীন, মিথ্যা, বানোয়াট সংবাদ সম্মেলন করেছে, তা অত্যান্ত দুঃখজনক। মোঃ আশরাফুল ইসলামকে আমরা, আপনারা সবাই চিনি ও জানি। তাদের পরিবার একটি সুশিায় শিতি পরিবার। সে ছাত্র অবস্থায় ব্যবসা বাণিজ্য করতো। আমার জানামতে সে স্বচ্ছ রাজনীতি করে। মাদক, জমি দখলকারী, টেন্ডারবাজ, সন্ত্রাসী, অন্যায়কারী ও সমাজ বিরোধীদের বিপে তার অবস্থান। আমার সাথে তার কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য ও জমিজমা সংক্রান্ত কোন কিছুরই সম্পর্ক নাই। কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল তার সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য এই মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করেছে। আমি আবারো এমন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এখানে আরো উল্লেখ্য যে, আমি জোরপূর্বকভাবে বহু জমি/বাড়ি দখল করেছি। এই সংক্রান্ত যদি কোন তথ্য প্রমাণাদি থাকে তাহলে আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনী সহ যেকোন সংস্থায় আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ স্বাপে্েয কাগজপত্র দিলে আমি খুশি হবো এবং আমি আজকে আপনাদের সামনে চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি, আমি কোন জমি, বাড়ি দখল করিনি বা কাউকে উচ্ছেদও করিনি এবং কোন ভূমিদস্যুতাও করিনি। এই সংক্রান্ত আমার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ সংশ্লিষ্ট থানায় নাই।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কাইয়ুম শিকদার, ফিরোজ তালুকদার, ইয়াদ আলী, হুমায়ুন, মান্নান প্রমুখ।