সরকার এক লাখ টন চাল কিনতে যাচ্ছে মিয়ানমার থেকে। রোহিঙ্গা বিষয়ক সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের টানাপোড়েনের মধ্যেই দেশটি থেকে চাল কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মিয়ানমারের চাল ও ধান ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকের বরাত দিয়ে এই খবর প্রকাশ করে মিয়ানমার টাইমস।
সেখানে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল কেনার জন্য আলোচনা করছে বাংলাদেশ। জিটুজি (সরকার থেকে সরকার) পদ্ধতিতে এই চাল কেনা হবে।
**আরও আড়াই লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অংক মিইন্ট মিয়ানমার টাইমসকে বলেন, ‘আমরা সামনে দাম নিয়ে আলোচনা করবো। চুক্তি সম্পন্ন হলে নৌপথে চাল রপ্তানি করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টেন্ডার পদ্ধতিতে না গিয়ে বাংলাদেশ যেহেতু সরকার থেকে সরকার পদ্ধতিতে যাচ্ছে, এই চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সামনে দাম নিয়ে আলোচনা যদি ঠিকঠাক হয় তাহলে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা রপ্তানি শুরু করব। সর্বশেষ তিন বছর আগে বাংলাদেশ আমাদের কাছ থেকে চাল কিনেছিল।’
করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্যশস্যের মজুদ বাড়াতে বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
সম্প্রতি দুই দফায় সাড়ে তিন লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রথম দফায় শর্ত সাপেক্ষে এক লাখ টন এবং দ্বিতীয় দফায় আরও আড়াই লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় আমদানি করা চালের মধ্যে দেড় লাখ টন ভারত থেকে সরকারি পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে এবং এক লাখ টন চাল আমদানিতে টেন্ডার আহ্বান করা হবে। গত ৭ জানুয়ারি চালের দামের লাগাম টেনে ধরতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে আরও ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়।