মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর হত্যাযজ্ঞ ও নিপীড়ন অব্যাহত রাখায় দেশটির ১০ সেনা কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত দুটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশজুড়ে বিক্ষোভ, ধর্মঘট ও অসহযোগ আন্দোলন চলছে। এ আন্দোলনে জান্তার হাতে ৭৩৭ গণতন্ত্রপন্থি নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন তিন হাজারের বেশি মানুষ।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেয় ইইউ। এদিকে, জান্তার হাতে আটক ছয় তরুণ বিক্ষোভকারীর রক্তাক্ত ও বীভৎস ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের হেফজাতে নিয়ে ভয়াবহ নির্যাতন চালায় সেনাবাহিনী। এতে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। খবর এএফপি ও আলজাজিরার
ইইউর ভার্চুয়াল সভায় জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস বলেছেন, মিয়ানমারের জান্তা সহিংসতা অব্যাহত রেখেছে। এতে দেশটি ‘মৃত্যু প্রান্তরে’ পরিণত হচ্ছে। এ কারণে তাদের সমঝোতার টেবিলে আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। ইইউর দুই কূটনীতিক বলেন, মিয়ানমার ইকোনমিক করপোরেশন (এমইসি) ও মিয়ানমার ইকোনমিক হোল্ডিংস লিমিটেডের (এমইএইচএল) ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তাদের ভিসায় নিষেধাজ্ঞা ও বিদেশে থাকা সম্পত্তি জব্দ করা হবে।
এছাড়া দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হদ্মাইংসহ ১০ শীর্ষ জেনারেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এর আগেও তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইইউ।
এদিকে, রোববার সন্ধ্যায় দেশটির সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন এমআরটিভিতে প্রকাশ করা ছবিতে চার পুরুষ ও দুই নারীর মুখ রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত দেখা গেছে। এতে এক নারীর ‘ফুলে যাওয়া চোয়াল এবং চোখ কালো’ দেখা যায়। দেশটির স্বাধীন পর্যবেক্ষক সংস্থা এএপিপিবি টুইট বার্তায় বলেছে, ‘এই জান্তা সরকার নির্যাতনকে নীতি হিসেবে নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পদক্ষেপ না নিলে নির্যাতন এবং মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া কার্যত অব্যাহত থাকবে।’ এমআরটিভির খবরে বলা হয়েছে, ওই ছয়জন শনিবার ইয়ানকিনের একটি সরকারি অফিসের বাইরে বোমা বিস্ম্ফোরণে জড়িত। ওই ঘটনায় তিন সরকারি সেনা আহত হয়। এর বেশি কোনো তথ্য তারা প্রকাশ করেনি।