মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি এবং তার ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে সোমবার আটক করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দিল্লি।
সোমবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মিয়ানমারের ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আমরা গভীর উদ্বিগ্ন। আমরা আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অবশ্যই সমুন্নত রাখতে হবে বলে বিশ্বাস করি। দেশটির পরিস্থিতির ওপর ঘনিষ্ঠভাবে নজরও রাখছি আমরা।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মিয়ানমারের ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আমরা গভীর উদ্বিগ্ন। আমরা আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অবশ্যই সমুন্নত রাখতে হবে বলে বিশ্বাস করি। দেশটির পরিস্থিতির ওপর ঘনিষ্ঠভাবে নজরও রাখছি আমরা।’
অন্যদিকে, মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা আশবাদী যে, দুই পক্ষ গঠনমূলক আলোচনা করবে।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তান বলে, ‘আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই নিজেদের সংবরণ করবে, আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখবে, গঠনমূলকভাবে আলোচনা করবে, এবং শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাবে। ’
এর আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জানায়, মিয়ানমারের নেত্রী ও স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি এবং তার ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে ভোরে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে তারা।
গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তবে, এ ফলাফল নিয়ে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার এবং প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা চলতে থাকায় এ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে বলে জানায় বিবিসি।