মাগুরা প্রতিনিধি: মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মাগুরা-১ আসনের এমপি এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর এর পিতা সাবেক এমপি মাগুরা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মরহুম এ্যাডঃ আছাদুজ্জামানের ২৭ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, শোক র্যালী, স্বরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ভায়না পৌর কবর স্থানে মরহুমের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহরে শোক র্যালী বের হয়। পরে দুপুরে মাগুরা জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে স্থানীয় আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে স্বরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়। জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ’র সভাপতিত্বে স্বরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর।
এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পংকজ কুন্ডু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু ও পৌর মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুন্সী রেজাউল হক, মো: রুস্তম আলী, প্রচার সম্পাদক এড: শাখারুল ইসলাম শাকিল, সদর থানা সভাপতি আশরাফুল আলম বাবুল ফকির, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, পৌর সভাপতি বাকি ইমাম, সাধারণ সম্পাদক মকবুল হাসান মাকুল, যুবলীগের আহবায়ক ফজলুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক শেখ সালাউদ্দিন, ছাত্রলীগের সভাপতি মীর মেহেদী হাসান রুবেল প্রমূখ।
বক্তারা মরহুম আছাদুজ্জামানের গঠন মূলক রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ড তুলে ধরে তার আদর্শ বাস্তবায়নের আহবান জানান।
উল্লেখ্য, মরহুম অ্যাডভোকেট আছাদুজ্জামান মাগুরা-২ আসন থেকে ৪বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সংসদের বিরোধী দলীয় পার্লামেন্টারী বোর্ডের সাবেক সচিব ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসাবে ১৯৭১ সালে মাগুরা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ছিলেন তিনি।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি পুর্ব পাকিস্তান প্রদেশিক পরিষদের এম.পিএ নির্বাচিত হন। এছাড়া ১৯৭৯,১৯৮৬ এবং ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি শ্রেষ্ঠ তরুণ পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যু হয়।
মরহুম আছাদুজ্জামান ১৯৩৫সালের ১১ই নভেম্বর মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মৌলভী জোকা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৪ সালে ছাত্রজীবনে তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬১ সালে তিনি মাগুরা বারে আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৬২’র ছাত্র আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সংস্পর্শে আসেন।
১৯৬৫ সালে তিনি মাগুরা মহাকুমা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৬ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি মাগুরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন।