জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে অংশ নিতে রাজধানীতে প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছেছে নেপালের প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী। সেখানে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সেখানে ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানাও।
দুই ঐতিহাসিক উদযাপনে দশ দিনের বর্ণিল আয়োজনের পর্দা উঠেছে গত ১৭ মার্চ। যেখানে উচ্চারিত হয়েছে জাতির জনকের স্বপ্নের পথ ধরে সামনে এগিয়ে চলার প্রত্যয়। সোমবার (২২ মার্চ) আয়োজনের ৬ষ্ঠ দিন। আজকের থিম ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ছাড়াও পাঠ করা হয় পবিত্র গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল। সূচনা বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনে ১৭ মার্চ থেকে ১০ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে। এই ১০দিন সাজানো হয়েছে ১০টি থিমে। অনুষ্ঠানমালায় প্রতিদিন পৃথক থিমভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অডিওভিজ্যুয়াল এবং অন্যান্য বিশেষ পরিবেশনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন চলছে। ২৬ মার্চ পর্যন্ত এ অনুষ্ঠান চলবে। এই বিশেষ অনুষ্ঠানমালার প্রতিপাদ্য ‘মুজিব চিরন্তন’।
এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রথম বিশ্বনেতা হিসেবে ১৭ মার্চ ঢাকায় আসেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। দ্বিতীয় বিশ্বনেতা হিসেবে আসেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। বৃহস্পতিবারের অতিথি নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। এছাড়া ২৪ এ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং ২৬ মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন।
এ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান,আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও এ উদযাপন উপলক্ষে ভিডিও বক্তব্য পাঠাচ্ছেন। তাতে ৫০ বছর পূর্ণ করতে চলা বাংলাদেশ আর এই দিনে ১০০ বছর পূর্ণ করা বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান প্রশংসা ফিরছে বিশ্ব নেতাদের মুখে মুখে।