অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনায় জড়িত কেউই ছাড় পাবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটির সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তারা তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের কাছে জমা দেবেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরই এ মামলা জট খুলে যাবে।
মন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় জড়িত কেউই ছাড় পাবে না। প্রতিবেদন অনুযায়ী যাদের অপরাধ প্রমাণিত হবে, তাদের আইন অনুযায়ী সাজা পেতে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, তদন্তে যদি কক্সবাজারের এসপির বিষয়ে কিছু পাওয়া যায়, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩১ জুলাই রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়ায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় বুধবার (৫ আগস্ট) কক্সবাজার জুডিশিয়াল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন তার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।
এই মামলার ৯ আসামির মধ্যে সাত জন গতকাল কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন। পরে মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাবের আবেদনের শুনানি নিয়ে একই আদালত তিন আসামি টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলি ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার বাকি চার আসামি কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে জেলগেটে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদ করতে র্যাবকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মামলার বাকি দুই আসামি এএসআই টুটুল ও কনস্টেবল মো. মোস্তফা এখনো পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে আদালত।