গতকাল (১৫ ই নভেম্বর’ ২০২২) বেডস্ ও গ্লোবাল গ্রীন গ্রান্ডস ফান্ড(জীজীএফ)এর আয়োজনে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামে বেডস্ এর সাইক্লোন শেল্টার ও ট্রেনিং সেন্টারে সুন্দরবন সংলগ্ন মাথুরাপুর জেলেপল্লী ও মুন্ডাপাড়া এলাকার ১০০ জন দরিদ্র মেধাবী ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০০ টি সৌরবাতি বিতরণ র্কমসূচি পালিত হয়। গ্লোবাল গ্রীন গ্রান্ডস ফান্ড (জীজীএফ)এর আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি(বেডস্) “সোলার ল্যাম্প ফর কোস্টাল স্টুডেন্টস এডুকেশন ইন বাংলাদেশ”প্রকল্পের আওতায় এই অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির পদ অলংকৃত করেছেন শ্যামনগর এর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ আক্তার হোসেন। বিশেষ অতিথির পদ অলংকৃত করেন মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান বাবু অসীম কুমার মৃধা এবং সমগ্র অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেডস্ এর প্রধান নির্বাহী জনাব মোঃ মাকছুদুর রহমান। এছাড়া এই অনুষ্ঠানে উপস্থতি ছিলেন মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ এর সদস্যবৃন্দ ও বেডস এর র্কমর্কতাগন।এই অনুষ্ঠানে নবায়নযোগ্য শক্তি প্রধানত সৌরশক্তির ব্যবহার এর প্রয়োজনীয়তা সর্ম্পকে অতিথিবৃন্দ উপস্থিত শিক্ষর্থিীদের অবগত করেন। ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক জলবায়ু পরির্বতন রোধে এবং উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর টেকসই জীবিকার প্রয়োজনে নবায়নযোগ্য সৌরশক্তির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনার শেষে বেডস এর প্রকল্প র্কমর্কতাগণ শিক্ষার্থীদের একটি র্কমশালার মাধ্যমে সৌরবাতির ব্যবহার প্রক্রিয়া হাতে কলমে শিখিয়ে দেন।
এখানে উল্লেখ্য যে, সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী অধিকাংশ জনগণই দরিদ্র এবং সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভরশীল। জীবাশ্ম শক্তির ব্যবহার গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকে বৃদ্ধি করছে, যা বৈশ্বিক উষ্ণতাকে ত্বরান্বিত করে এবং পরিবর্তন ঘটায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশ বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।দারিদ্র্য ও শিক্ষার অভাবে উপকূলীয় এসব পরিবার শুধু সুন্দরববনের ওপর নির্ভরশীল।সেখানে অনেক মেধাবী ছাত্র আছে যারা মূলত সম্পদ আহরণের দিকে ঝুঁকছে কারণ তাদের শিক্ষার সুবিধা নেই। এসব এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থা খুবই খারাপ যেখানে মানুষ এখনো বিদ্যুতের মতো মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। গ্রামবাসীরা সূর্যাস্তের পরে অন্ধকারে ঢেকে যায়, যার ফলে মহিলারা কেরোসিনের বাতি ব্যবহার করে বা দিনের আলোতে খাবার রান্না করে এবং ছাত্ররা রাতে তাদের পড়াশোনা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস্) নির্বাচিত প্রকল্প এলাকার ১০০ জন শিক্ষার্থীকে ১০০টি সোলার ল্যাম্প দেবে যাতে পরিবারগুলি বনজ সম্পদ সংগ্রহকারী থেকে অন্য টেকসই জীবিকা গ্রহণ করতে পারে এবং সুন্দরবনের উপর চাপ কমাতে পারে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য যাতে উল্লেখিত সমস্যা মোকাবিলা সহজ হয় তার সুনিশ্চিত একটি প্রাথমিক ধাপ হিসেবে বেডস্ এই আয়োজন করে।