আমরা খুলনার সবাই খুলনার উন্নয়নের জন্য কথা বলি। উন্নয়ন করতে গেলে আগে নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচনে আগে তাকে প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করার পরেই তো সে উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন দলটির মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক।
তিনি বলেন, আপনি যদি নির্বাচন না করতে পারেন তাহলে আপনার উন্নয়নের ব্যাপারে কথা বলার কোন অধিকার আছে বলে আমি মনে করি না।
মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল সোয়া ১০টায় রিটার্নিং অফিসার মো. আলাউদ্দিনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, কোন প্রতিপক্ষকে দুর্বল ভাবার কারন নাই। যেই নির্বাচন করবে সেই আমার প্রতিপক্ষ। অতএব আমি কে আসলো কে না আসলো এটা আমার বিবেচ্য বিষয় না।
নির্বাচন প্রতি পাঁচ বছর পরে নিয়ম অনুযায়ী হয়। আমি মনে করি সব দলের এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত। জনপ্রিয় যাচাই করার একমাত্র মাধ্যম রাজপথ নয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। এখানে সবার নির্বাচন করা উচিত।
তিনি বলেন, গতবারও খুলনায় ইভিএম সিস্টেমে আমি ভোট দিয়েছি। এবারও নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে ইভিএম এ ভোট হবে। এটা একটা নতুন পদ্ধতি হয়তো মানুষ কম জানে। প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে জানার ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন করছে। আর এভাবে নির্বাচন করতে করতেই তো সবাই জানবে। আমি মনে করি ইভিএম সিস্টেম আধুনিক সিস্টেম সবার এটাকে গ্রহণ করা উচিত। ইভিএম এর মাধ্যমেই নির্বাচন হওয়া ভালো। মানুষ যাতে বুঝতে পারে সহজে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন করবে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলেন, সাধারণ মানুষ চায় খুলনার উন্নয়ন। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। এরপর চায় আইন শৃঙ্খলা যাতে ভালো থাকে ও সন্ত্রাসমুক্ত ভূমিদস্যুমুক্ত নগর। যেগুলা আমরা সব সময় নির্বাচনের সময় বলে আসছি। এই কাজগুলো কিন্তু গত পাঁচ বছরে খুলনায় হয় নাই। কারণ আমাদের যারা সংসদ সদস্য সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল ও বেগম মন্নুজান সুফিয়ান যে কথা বলেছে আমিও মেয়র হিসেবে একই কথা বলেছি একইভাবে আমরা কাজ করেছি। বিধায় খুলনায় আজকে সন্ত্রাস বিভিন্ন চাঁদাবাজির অভিযোগ আমাদের দৃষ্টিতে এখন পর্যন্ত আসে নাই। তবে আমরা যে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম মাদক মুক্ত খুলনা আমরা চাই এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদক মুক্ত বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করতেছি। তারপরেও আমি মনে করি সব সমস্যার সমাধান হয় নাই ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে বাকিটা সমাধান করার আপ্রাণ চেষ্টা করব। খুলনা বাসীর কাছে আমার অনুরোধ থাকবে একজন নাগরিক হিসেবে ভোটের দিন অবশ্যই ভোট সেন্টারে ভোট দিতে যাবেন। আমাদের দলীয় একটা পারসেন্টিস আছে এবং এর সাথে সাধারণ ভোটার ও আছে তাতে আমি মনে করি অন্তত ৬০ থেকে ৬৫% ভোট কাস্ট হবে।
এসময় তার সাথে ছিলেন সাবেক মেয়র ও খুলনা মহানগর আ’লীগের সহ-সভাপতি সভাপতি কাজী আমিনুল হক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী ও খুলনা মহানগর আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ। সোমবার (১৫ মে) পর্যন্ত মেয়র পদে ৮ জন, ৩১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৮৮ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
কেসিসি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৮ মে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। আগামী ২৫ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন, ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দ ও ১২ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে।