উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো রোমাঞ্চের পসরা সাজিয়ে বসেছিল। দুটো পেনাল্টি শ্যুটআউটের একটিতে হট ফেভারিট লিভারপুল বাদ পড়েছে, অন্য টাইব্রেকারে আরেক ফেভারিট রিয়াল মাদ্রিদ রেকর্ড গড়ে উঠে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। এছাড়াও বেনফিকাকে হারিয়েছে বার্সেলোনা, তাদের দেখা হচ্ছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সঙ্গে, যারা লিলকে হারিয়ে আসছে শেষ আটে। বায়ার্ন মিউনিখ লেভারকুজেনকে হারিয়ে মুখোমুখি হচ্ছে ইন্টার মিলানের। ওদিকে আর্সেনাল পিএসভির জালে ৯ গোল জড়িয়ে কোয়ার্টারের টিকিট কেটেছে, অন্য ইংলিশ দল অ্যাস্টন ভিলাও সামগ্রিক লড়াইয়ে ৬-১ ব্যবধানের বিশাল জয় নিয়ে শেষ আটে উঠে গেছে।
এই শেষ ষোলোর লড়াইয়ে দেখা মিলেছে একাধিক রেকর্ডের। সেসব রেকর্ড দেখে নেওয়া যাক এক নজরে—
ইংলিশম্যানদের যত রেকর্ড
৫০ বায়ার্ন মিউনিখের ইংলিশ ফরোয়ার্ড ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫০টি গোলে সহায়তার মাইলফলকে নাম লিখিয়েছেন। এর আগে এই রেকর্ড ছিল কেবল ডেভিড বেকহ্যামের, তার ৩৬ অ্যাসিস্টের পাশাপাশি ছিল ১৬ গোল। হ্যারি কেইনের গোল ৩৯টি, অ্যাসিস্ট ১১টি; আর তিন গোলে সহায়তা করলেই বেকহ্যামকে ছাড়িয়ে যাবেন তিনি।
১০ চলতি মৌসুমে কেইনের গোল সংখ্যা ১০টি। প্রথম ইংলিশম্যান হিসেবে এক মৌসুমে ১০ গোল করার রেকর্ডটা গড়লেন তিনি।
১ কনর গ্যালাগার গত রাতে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে গোল করেছেন ২৭ সেকেন্ডে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এর চেয়ে কম সময়ে গোল নেই আর কোনো ইংলিশ খেলোয়াড়ের। এই গোল করে আরও এক কীর্তি গড়েছেন তিনি। মাদ্রিদ ডার্বিতে গোল করা প্রথম ইংলিশম্যানও বনে গেছেন তিনি।
রেকর্ডের পাতায় বার্সার তরুণেরাও
১৭ বেনফিকার বিপক্ষে গোল আর অ্যাসিস্ট করে লামিন ইয়ামাল বনে গেছেন এই প্রতিযোগিতায় একই ম্যাচে গোল আর অ্যাসিস্ট করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়। এই ম্যাচের দিন তার বয়স ছিল ১৭ বছর ২৪১ দিন।
১৬, ১১ আর ১০ লামিনের প্রথম গোলে সহায়তাটা ছিল রাফিনিয়ার উদ্দেশ্যে। সে গোলটা করলেন, এরপর রাফিনিয়া গোল করেন আরও একবার। তাতে তিনি প্রথম ব্রাজিলিয়ান হিসেবে এক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মৌসুমে ১০ এর বেশি গোল করা খেলোয়াড় বনে গেছেন।
চলতি মৌসুমে তার গোলসংখ্যা ১১টি। যা বার্সেলোনার হয়ে এক মৌসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। প্রথম স্থানে আছেন মেসি। তার রেকর্ড ছাড়াতে রাফিনিয়ার দরকার আরও ৪ গোল।
এই মৌসুমে রাফিনিয়া সব মিলিয়ে ১৬ গোলে অবদান রেখেছেন। এখানেও তিনি আছেন মেসির পেছনে। ২০১১-১২ মৌসুমে মেসি ১৯টি গোলে সহায়তা করেছিলেন।
টাইব্রেকারে অপ্রতিরোধ্য রিয়াল
৪ আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদ টাইব্রেকারে জিতেছে। ইউরোপিয়ান কাপ/চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে তাদের টাইব্রেকারে জয়সংখ্যা দাঁড়াল ৪-এ। পেনাল্টি শ্যুটআউটে এর চেয়ে বেশি জয় নেই আর কোনো দলের।
অদম্য দেম্বেলে, দুর্ধর্ষ পিএসজি
২১ উসমান দেম্বেলে চলতি মৌসুমে যেন পিএসজির মেসি বনে গেছেন। সব মিলিয়ে ২১ গোল করেছেন। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে তার চেয়ে বেশি গোল আর কারো নেই এই মুহূর্তে।
আবারও ২১ পিএসজি অ্যানফিল্ডের ফিরতি লেগে সব মিলিয়ে শট করেছে ২১টি। ১৬ বছরে লিভারপুলের মাঠে কোনো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে সফরকারী কোনো দল এতগুলো শট নিতে পারেনি। শেষবার নিয়েছিল চেলসি, ২০০৯ সালে তাদের শটও ছিল ২১টি।