মোংলা প্রতিনিধি :: মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের (সিবিএ) যুগ্ন সম্পাদক মতিয়ার রহমান সাকিবের করা নানা অনিয়মের বিচার চেয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। আবেদনকারী ওই অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছেন খুলনা সিটি মেয়র, নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট ৮টি দপ্তরে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর প্রেরিত পুরাতন মোংলার বাসিন্দা মোঃ রাহাত হোসেন তার লিখিত অভিযোগে দাবি করেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের পদ পদবী ব্যবহার করে মতিয়ার রহমান সাকিব তার ভগ্নিপতি, দুই ভাই, এক ভাগ্নেকে নিয়ম বর্হিভূত চাকুরী পাইয়ে দেন। ভগ্নিপতি সরোয়ার হোসেন যখন চাকুরীতে প্রবেশ করেন তখন তার মেয়ের বয়স ২৭ বছর। অন্যদিকে তার ছোট ভাই জুনিয়র আইটডোর সহকারী বাদশাকে সার্টিফিকেট নকল করে চাকুরীতে প্রবেশ করান। তার আরেক ভাই রানা চাকুরীতে প্রবেশ করেন কাঠ মিস্ত্রি হেলপার পদে। তবে ভাই সিবিএর নেতার প্রভাব খাটিয়ে রানা দায়িত্ব পালন করেন সিভিল ও হাইড্রোলিক বিভাগের ডেক্সে। এছাড়া সাকিব তার আপন ভাগ্নেসহ বহু ব্যক্তিকে চাকুরী পাইয়ে দিয়েছেন অর্থের বিনিময়ে। অভিযোগকারী আরো উল্লেখ করেন, সিবিএর যুগ্ন সম্পাদক মতিয়ার রহমান সাকিব মোংলা বন্দরের আগামী নিয়োগে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ২০ ব্যক্তির কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে নিয়েছেন। একই সাথে বন্দরের স্মৃতি সৌধের পিছনে অবৈধভাবে দুইটি দোকান বানিয়ে ভাড়া বাবদ বহু টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন সেখান থেকে। মাধবী আবাসিক এলাকায় যাত্রী ছাউনিতে দোকান বানিয়ে ভাড়া দিয়েছেনও তিনি। সাথে সাথে বন্দর আবাসিক এলাকায় এফ টাইপ বাসা সাবলেট দিয়ে ভাড়া আদায় করছেন। অভিযোগকারী রাহাত আরো উল্লেখ করেন, সিবিএর যুগ্ন সম্পাদক সাকিব তার ওইসব অবৈধ আয় দিয়ে দিগরাজ আবাসিক এলাকায় ৪৮ লাখ টাকা দিয়ে আট কাঠার একটি প্লট কিনেছেন। নিজ জন্মস্থান কুষ্টিয়ায় বিলাশ বহুল ভবন নির্মাণ করেছেন। এসকল অভিযোগের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেন অভিযোগকারী রাহাত হোসেন।
তবে এতসব অভিযোগের বিষয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সিবিএর যুগ্ন সম্পাদক মতিয়ার রহমান সাকিব বলেন, বন্দর কর্মচারী সংঘ সিবিএর চলমান দন্ধের কারণে ষড়যন্ত্রমূলক তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।