মোংলা প্রতিনিধি :: মোংলার শেহলাবুনিয়া মৌজার কাইনমারী এলাকার জাল পর্চা দিয়ে ১১ শতক ভূমি রেজিষ্ট্রি করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মোংলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে ভুক্তভোগী ওই ভূমির মালিক রুবিয়ারা বেগম।
অভিযোগ ও অভিযোগকারী এবং রেজিষ্ট্রিকৃত দলিল সূত্রে জানা যায়, গত ০২ সেপ্টেম্বর মোংলা সাব রেজিষ্ট্রারের দপ্তরে একটি আম-মোক্তার নামা দলিল রেজিষ্ট্রি হয়। যাহার নম্বর ১৩৪৬। দাতা- মনিন্দ্র বিশ্বাস, পিতা মৃত-হরিপদ বিশ্বাস ও সদানন্দ বিশ্বাস, পিতা মৃত-হরিপদ বিশ্বাস। দলিল গ্রহীতা সন্তোশ বিশ্বাস, পিতা-মৃত হরিপদ বিশ্বাস ও মোকলেছুর রহমান, পিতা মৃত মোকসেদ মোল্লা। রেজিষ্ট্রকৃত দলিলে দেখা যায়, খতিয়ান নং ডিপি/ বুজরত-২৩২৯, ডিপি নং-০৯, দাগ নং ২৮১১ এর ডোবা ৬০ শতক তাহার মধ্য হতে আম-মোক্তারকৃত সম্পত্তির পরিমাণ ১১ শতক। তবে অভিযোগকারী রুবিয়ারা বেগমের দাখিলকৃত খতিয়ান নং ডিপি-২৩২৯ এ দেখা যায়, রুবিয়ারা বেগমের নামে ৬০ শতক ভূমি খতিয়ানভুক্ত হয়। এবং তিনি দীর্ঘদিন সেখানে বসবাস করছেন। রুবিয়ারা বেগম জানান, দলিল দাতা ও গ্রহীতা উভয়ে জাল জালিয়াতি করে তাদের সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের কতিপয় দুনর্ীতিবাজদের সহায়তায় আর দলিল লেখক নামের কয়েকজন দালাল চক্রের মাধ্যমে জাল কাগজ দিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রি করিয়েছে। ওই দলিল বাতিল করতে তিনি সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান।
জাল পর্চা দিয়ে দলিল গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে সন্তোশ বিশ্বাস বলেন, স্থানীয় এক ভেন্ডারের (ষ্ট্যাম্প বিক্রেতা) কাছ থেকে তিনি ওই পচার্টি নিয়েছেন। তার দাবী দীর্ঘদিন বেহাত থাকা তাদের সম্পত্তি দখল নিতে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোকলেছুর রহমানকে আম-মোক্তার নামা দলিলে গ্রহিতা হিসেবে রেখেছেন।
তবে মোকলেছুর রহমান বলেন, দলিলদাতা যে কাগজপত্র দিয়েছেন তা দিয়ে তিনি মোংলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে দলিল করিয়েছেন। তিনি এছাড়া আর কিছুই জানেন না।
এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনি দলিল দাতার মাধ্যমে একটি ডিপি পর্চা সংযুক্ত পেয়েছেন তাই রেজিষ্ট্রি করেছেন। সংযুক্ত ডিপি কাগজটি ভুয়া কিনা সেটি যাচাই করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, মুল কপি তাদের দপ্তরে নেই, তাই যাচাই করার কোন সুযোগ নেই।
এদিকে ব্যাপক উন্নয়নের কারণে ভূমির মুল্য বাড়ার সাথে সাথে দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে মোংলায়। ওইসব চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রতিনিয়ত নানা ঝামেলায় পড়ছে ভূমি ক্রেতা-বিক্রেতারা এমন নানা অভিযোগও রয়েছে।