যেসব মানবিক কাজ প্রকৃতি ও মানুষকে উন্নত করে সেসবই সংস্কৃতি। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন প্রকৃতির দান এবং মানুষের জ্ঞান এই দুই মিলেই মানুষের সভ্যতা ও সংস্কৃতি। আর সুন্দরবন সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর বলেছেন ”বঙ্গোপসাগরের পাশ দিয়ে যে সুন্দরবনটা রয়েছে এইটা হলো বেরিয়ার। এটা যদি রক্ষা করা না হয় তাহলে একদিন খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লার কিছু অংশ, ঢাকার কিছু অংশ সমুদ্রের মধ্যে চলে যাবে। একবার যদি সুন্দরবন শেষ হয়ে যায়-তো সমুদ্র যে ভাঙন সৃষ্টি করবে সেই ভাঙন থেকে রক্ষা করার কোনও উপায় নাই।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মোংলা নদীর চরে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে প্যারাবন বৃক্ষ রোপণ কর্মসুচি উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি একথা বলেন।
সকাল ৮টায় প্যারাবন বৃক্ষ রোপণ কর্মসুচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বাগেরহাট জেলা কমিটির আহ্বায়ক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান, উপজেলা নির্বাহি অফিসার কমলেশ মজুমদার, সহকারি পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল, অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধরন সম্পাদক মো. ইব্রাহিম ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান জসিম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাপা নেতা নাজমুল হক, কমলা সরকার, ইস্রাফিল বয়াতি, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার শেখ রাসেল, নদীকর্মী হাসিব সরদার প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি আরো বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের মাটি-পানি ও পরিবেশের কথা বিবেচনায় নিয়ে প্যারাবন বৃক্ষ রোপণ কর্মসুচি জোরদার করতে হবে।
উল্ল্যেখ্য, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র উদ্যোগে উপকূলজুড়ে প্যারাবন বৃক্ষ রোপণ কর্মসুচি চলমান রয়েছে।