তখন থেকে কম মূল্য বেতনে ৩ শতাধিক শ্রমিক নিয়োগ করা হয় প্রতিষ্ঠানটির সুতা উৎপাদনের কাজে। আর চাকুরিতে যোগদানের ৬ মাস পর তাদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া কথা থাকলে দীর্ঘদিন থেকে কর্তপক্ষ নানা টালবাহানা করে আসছিল। করোনার লকডাউন ঘোষনার আগে প্রতিষ্ঠানটি কয়েক দফায় দেড় শতাধিক শ্রমিককে নানা কারন দেখিয়ে ছাটাই করে।
প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের স্থায়ীকরন না করে উল্টো হয়রানী সহ সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার বাকি আর ১৫৪ জন শ্রমিককে চাকরিচুত্য করা হয়। কর্তৃপক্ষের এমন আচরন ও সিদ্ধান্তে শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা চাকরি স্থায়ীকরন ও পূনঃ নিয়োগের দাবীতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুরে পর্যন্ত ইপিজেড গেট ও রাস্তায় অবস্থান নিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ করে।
এ সময় ইপিজেডের নিরাপত্তা রক্ষীরা ইপিজেড এলাকায় দাড়াতে না দিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিকের অভিযোগ, ওই প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ব্যাবস্থাপক তাজেল ইসলাম, এ্যাডমিন সাইমুন ও প্রধান হিসাব রক্ষক হিরোক সরকারসহ কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা মিলে এ সকল শ্রমিকদের চাকরী স্থায়ী করণ না করে তাদের পরামর্শে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আমাদের চাকরীচুত্য করেছে। প্রথম যখন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়া হয় সেই সময় এই কর্মকর্তাগন চাকরীর ৬ মাস অতিবাহিত হলে শ্রমিকদের স্থায়ী করণ ও বেতন বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্ত আজ ৬মাস পরে তাদের চাকরী থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এসকল অসহায় শ্রমিকদের আংশিক বেতন ও রিজাইন লেটারে জোরপূর্বক স্বাক্ষর রেখে বের করে দেয়া হয় তাদের। এ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পঙ্গু হয়েছেন কেউ কেউ। তাদেরও এ প্রতিষ্ঠানে রাখা হয়নি। তবে ৮ কর্মকর্তা রয়েছেন বহাল তবিয়াতে। স্থায়ীকরন ও বেতন বৃদ্ধি করতে হবে আর তাই এ শ্রমিকদের ছাটাই করে নতুন ভাবে ক্যাজুয়েল শ্রমিক নিয়ে পুনরায় প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদন শুরু করার প্রচেষ্টায় কর্তৃপক্ষ লিপ্ত রয়েছে শ্রমিকদের অভিযোগ।