চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ মোংলা বন্দরের জেটিতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ফর্কলিফট দিয়ে পণ্য বোঝাই-খালাসের ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। নিয়ম ভেঙ্গে বহিরাগত শ্রমিক দিয়ে কন্টেইনার বোঝাই-খালাস কাজ করান বন্দরের ক্রেন হেলপার নাজিমুল হক। এ অনিয়মের প্রতিবাদ করায় নাজেহাল হয়েছেন বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মোস্তফা কামাল।
যদিও বহিরাগত শ্রমিক দিয়ে বন্দর জেটির অভ্যন্তরে কার্যক্রম চালানোর কোন বিধানই নেই। মোংলা বন্দর জেটির চার নম্বর ইয়ার্ডে গত বৃহস্পতিবার ফর্কলিফট দিয়ে পণ্য বোঝাই ও খালাসের কাজ করছিল বহিরাগত শ্রমিক শুকুর হাওলাদার। এ সময় ক্রেন হেলপার মো. নাজিমুল হক নাজিম কাজের ফাঁকি ও দায়িত্ব অবহেলা করেই বহিরাগত ওই শ্রমিককে দিয়ে এ কাজ করিয়েছেন বলেও বন্দরের ট্রাফিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
নাজিম প্রায়ই কাজে ফাঁকি দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়ে আসছিল বলেও সূত্রটি নিশ্চিত করেছেন। ক্রেন হেলপার মো. নাজিমুল হক দাবি করে বলেন, ঘটনার দিন আমি অসুস্থ্য ছিলাম, তাই অন্য লোক দিয়ে কাজটি করিয়েছি। এতে কিছুই হবেনা, কারণ সিবিএর নেতারা আমার পক্ষে আছেন। এদিকে এ ঘটনায় মোংলা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে বন্দর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে তাতে বাঁধা দেন বন্দরের সিবিএ মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের নেতারা।
তারা ক্রেন হেলপার মো. নাজিমুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে ঘটনার দিন পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মোস্তফা কামালের অফিস কক্ষে ঢুকে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ আছে। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, এ ঘটনা আমি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।
তবে, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ আহমেদ বলেন, সেদিন কোন অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়নি, কর্মচারীদের প্রতিনিধিত্ব করতে গেলে তাদের পক্ষে কথা বলতে হয়। বরং পরিচালক (ট্রাফিক) আমাদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেছেন বলে তিনি দাবী করেছেন। এদিকে বন্দর জেটি থেকে বিভিন্ন সময়ে কন্টেইনার পণ্য চুরি হওয়ার পিছনে বহিরাগত শ্রমিক দিয়ে জেটির যন্ত্রপাতির কাজ করানোকেই দায়ী করেছেন বন্দর ব্যবহারকারী।
মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী মেসার্স নুরু এন্ড সন্সের মালিক এইচ,এম দুলাল বলেন, বন্দর জেটিতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও কিভাবে বহিরাগত শ্রমিক ঢুকে বন্দরের মূল্যবান যন্ত্রপাতি চালান। এ জন্যই মূলত বিভিন্ন সময়ে জেটি থেকে একের পর এক মূল্যবান মালামাল খোয়া যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এসবের বিরুদ্ধে বন্দর কর্তৃপক্ষকে আরও সতর্ক হতে হবে বলেও জানান তিনি।