পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে মোংলা বন্দরের ৩৮০০ শ্রমিক-কর্মচারীদেরকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা কাষ্টমস এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশন এবং মোংলা বন্দর বার্থ ও শিপ অপারেটর এ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে বুধবার দুপুরে শ্রমিক-কর্মচারী এ খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক ভবন চত্বরে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর বার্থ ও শিপ অপারেটর এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন, সহ-সভাপতি এমএ বাতেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা জেসান ভুট্টো, মোঃ মহসিন, কোষাধ্যক্ষ আফসার উদ্দিন রতন, উপদেষ্টা এসএম মোস্তাক মিঠু, সদস্য এইচ এম দুলাল, মশউর রহমান, শেখ কামরুজ্জামান জসিম ও মাহবুবুর রহমান টুটুল
এবং মোংলা কাষ্টমস এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ সুলতান হোসাইন খাঁন।
শ্রমিক- কর্মচারীদের ঈদ উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছে ১০কেজি চাল, ১কেজি পোলাও চাল, ২কেজি ডাল, ২কেজি চিনি, ১লিটার তেল, সেমাই ২ প্যাকেট, সাবান ১ পিস, গুড়ো দুধ ৫০০গ্রাম ও লবণ ১কেজি।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন,
প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনার ফলে মোংলা বন্দরে এখন স্বর্ণ যুগ চলছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়াতে চট্টগ্রামের তুলনায় মোংলা বন্দরে থেকে ঢাকার দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার কমে গেছে। এখন মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টায় মোংলা বন্দর থেকে পণ্য ঢাকায় পৌঁছে যাচ্ছে। রেল চালু হলে বন্দরের কর্মযজ্ঞ আরও বাড়বে। সরকারের সদিচ্ছায় বন্দরকে ঘিরে নানা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। শ্রমিক-কর্মচারীই এই বন্দরের বড় শক্তি। তাই সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মোংলা বন্দরকে আরও এগিয়ে নিতে হবে।