ঈদুল আজহা উপলক্ষে মোংলা বন্দরে জাহাজে কর্মরত অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন ও মোংলা বন্দর বার্থ ও শিপ অপারেটর এসোসিয়েশনের আয়োজনে ও মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘের সহযোগিতায় সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা সংঘের ২ হাজার ৯৩০ জন শ্রমিক-কর্মচারী পরিবারের মাঝে এ খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মুসা। বন্দর কর্তৃপক্ষের ভবন চত্বরে শ্রমিক-কর্মচারীদের হাতে এ খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মুসা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর বার্থ ও শিপ অপারেটর এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এস,এম মোসতাক মিঠু, শেখ আব্দুস সালাম, সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন, সহ-সভাপতি এম,এ বাতেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহসিন, সদস্য ও বন্দর ব্যবহারকারী এইচ এম দুলাল, মশউর রহমান ও মাহবুবুর রহমান টুটুল ও মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সেন্টুসহ অন্যান্যরা। সংঘের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সেন্টু বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বন্দরে জাহাজে কর্মরত ২৯৩০ জন শ্রমিক-কর্মচারীদেরকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি পোলাও চাল, ২ কেজি ডাল, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি আলু, ১ লিটার তেল ও ১ কেজি লবণ।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মুসা বলেন, মোংলা বন্দরে এখন স্বর্ণ যুগ চলছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়াতে চট্টগ্রামের তুলনায় মোংলা বন্দরের ১০০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে গেছে। এখন ঢাকার সবচেয়ে কাছাকাছি হচ্ছে মোংলা বন্দর। এখন মাত্র তিন সাড়ে তিন ঘটনায় মোংলা বন্দর থেকে পণ্য ঢাকায় পৌঁছে যাচ্ছে। গাড়ী আমদানীতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। আয়সহ জাহাজের আগমন ও পণ্য হ্যান্ডেলিংও বেড়ে গেছে। এছাড়া রেল লাইনের কাজও প্রায় শেষের পথে। রেল চালু হলে বন্দরের কর্মযজ্ঞ আরো বেড়ে যাবে। সরকারের সদিচ্ছায় বন্দরকে ঘিরে নানা প্রকল্পের কাজ চলছে। সকলে মিলে এ বন্দরকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কারণ শ্রমিক কর্মচারীই এই বন্দরের বড় শক্তি। বিগত ও বর্তমান সময়ের মত আগামীতে শ্রমিক কর্মচারীদেরকে সকল সাহায্য ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।