মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া এলাকায় বিদেশী জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে কয়লা বোঝাই বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় সর্বশেষ নিঁখোজ থাকা তিনজনের মধ্যে আরো একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর,) দুপুরে বন্দর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার ১২ নম্বর এ্যাংকরেজ এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় থাকা এ মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
লঞ্চ লেবার এ্যাসোসিয়েশনের মোংলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল হাসান বাবুল জানান, গত সোমবার রাতে হাড়বাড়িয়ার ৯ নম্বর বয়া এলাকায় বন্দরের পশুর চ্যানেলে বাল্কহেড ডুবে ৫ নাবিক নিঁখোজ থাকেন । এরমধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তারপরও নিঁখোজ থাকেন তিনজন। ওই তিনজন নিঁখোজ থাকা অবস্থাতেই সংশ্লিষ্টরা বুধবার উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেন। তারপর থেকে নিঁখোজদের পরিবার লাশের সন্ধানে দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় খুজতে থাকেন।
তারা এক পযার্য়ে শুক্রবার দুপুরে হাড়বাড়িয়া-৯ বয়া এলাকায় একটি লাশ ভাসতে দেখেন তারা। এরপর তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করেন। শুক্রবার উদ্ধার হওয়া লাশটি ওই বাল্কহেডের নাবিক রবিউল ইসলামের (৩৫)। তার বাড়ী পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী এলাকায় বলে জানা গেছে। এর আগে মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়া লাশ দুইটি হলো গ্রিজার নুর ইসলাম (৩২) ও সুকানি মহিউদ্দিনের (৩৫)। এই দুইজনের বাড়ীও স্বরূপকাঠীতে। তবে এখনও আরো দুইজন নাবিক নিঁখোজ রয়েছে। তারা হলেন, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার জিহাদ ও বাগেরহাটের মোংলার সামছু।