মোংলা বন্দরে সুপারভাইজার পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৮ লাখ টাকায় কুড়িগ্রাম জেলার ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে চুক্তি করেন মো. আজিজুল ইসলাম ঢালী। চুক্তির নগদ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে চাকরি প্রত্যাশিকে ভুয়া নিয়োগপত্র দেন। এমন অভিযোগে তাকে আটক করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে খুলনা থেকে প্রতারক চক্রের মূল হোতা আজিজুল ইসলাম ঢালীকে আটক মোংলা থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি শাখার ল্যান্ড সার্ভেয়ার মো. আবুল খায়ের বাদী হয়ে প্রতারক আজিজুলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। আজিজুল ইসলাম ঢালী সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খোকন ঢালীর ছেলে।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আগামী শনিবার সকালে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন মোংলা থানার সেকেন্ড অফিসার ঠাকুরদাস মন্ডল। তিনি বলেন, আজিজুল বন্দরে চাকরি দেয়ার কথা বলে মো. ইসমাইল হোসেন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বন্দরে চাকরি প্রত্যাশীদের ভুয়া নিয়োগ দেখিয়ে এ চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।
আজিজুল সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খোকন ঢালীর ছেলে। আজিজুল মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে চাকরি দেয়ার নামে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মো. শাহীনুর আলম বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে একটি চক্র মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এরকম অনেক ভুয়া নিয়োগপত্র আমাদের কাছে জমাও হয়েছে। তাই এই চক্রটিকে ধরতে আমরা নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করি। ফলে প্রতারক চক্রের মূলহোতাকে আটক করতে পেরেছি। বাকিদেরও শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।
শাহীনুর আলম আরও বলেন, মূলত জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এ চক্রটি মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন। আর এতে বন্দর কর্তৃপক্ষের সুনামও নষ্ট হচ্ছে। মোংলা বন্দরের চাকরিতে টাকা লাগে না, শুধু যোগ্যতায় চাকরি হয় বলেও জানান তিনি।