খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকাদার আব্দুল খালেক বলেছেন, মোংলা বন্দরকে নষ্ট করার জন্য কমিউনিস্ট পার্টির এখানকার একজন নুর আলম নদীর ওপার (বানীশান্তা, দাকোপ, খুলনা) গিয়ে লোকজনকে সুরসুরি দিচ্ছেন যে ওখানে মাটি ফেলা যাবেনা। অথচ ২০১৮ সালে বন্দরে যখন আমার সাথে এনিয়ে (ড্রেজিংয়ের বালু ফেলা নিয়ে) মিটিং হয়, সেখানে তারা (জমির মালিকেরা) অঙ্গিকার করেছিলো তিন/চার বছরের টাকা নিয়ে ওই জমি ব্যবহার করতে দিবেন। আজ মোংলা বন্দর সচল হয়েছে। গত পরশু দিন ৬হাজার কোটি টাকার মোংলা বন্দরের উন্নয়নের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। আজকের এই সকল উন্নয়ন কার্যক্রম ওই কমিউনিস্টের কারণেই আমাদের পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে। বানীশান্তার জমিতে কোন তিন ফসলি ফসলও হয়না। অথচ তারা (কমিউনিস্ট) এসব অপপ্রচার করছেন। মোংলা বন্দরের ইনারবার ড্রেজিংয়ের বালু খুলনার দাকোপ উপজেলার বানীশান্তার তিনশ একর জমিতে ফেলা নিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী কমিউনিস্ট নুর আলমের বিরুদ্ধে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার দুপুরে মোংলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে দলের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ২০ দল ভেঙ্গে গেছে, ওই ২০ দলে ২০জনের বেশি লোক নেই। আর বিএনপি-জামায়াত বাদে ওদের (২০দল) প্রস্তাবক ও সমর্থনকারী নেই। একজন এক পার্টির এ হচ্ছে ২০ দল। আসম আ: রব হলেন ঢাল নাই, তলোয়ার নাই নিধিরাম সরদার। আসম রব বঙ্গবন্ধুর সাথে বেইমানী করেছেন। মাহামুদুর রহমান মান্নার মত যারা বিপদগামী ষড়যন্ত্রকারী তারা আওয়ামী লীগে থাকতে পারেননি। যেভাবে এসেছিলো সেভাবেই চলে গেছেন আওয়ামী লীগ থেকে। এখন তারা (বিএনপি-জামায়াতসহ ২০ দল) সবাই মিলে সরকারে বিরেুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাই আমাদেরকে সংঘবদ্ধ থেকে দলকে বেগবান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য শীঘ্রই ইউনিয়ন ও পৌরসভায় বর্ধিত সভার আয়োজনের জন্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের নিদের্শনা দেন তিনি। এতে দলের বিভেদ দূর হবে এবং সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, মোংলা বন্দরে ২১ বছরে কোন চাঁদাবাজী ও তেল চোরকারবারী ছিলনা, এখন তা আবারো দেখা ও শোনা যাচ্ছে। এগুলো দেখার জন্য তিনি প্রশাসনের নজরদারী বৃদ্ধির আহবাণ জানান।
পৌর আওয়ামী লীগের এ বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা কেষ আ: রহমান। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের হাওলাদার, আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম হোসেন, শেখ আব্দুস সালাম, শেখ কামরুজ্জামান জসিম, সাখাওয়াত হোসেন মিলন, ইস্রাফিল হাওলাদার ও মোল্লা তারিকুল ইসলাম অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।