এম.পলাশ শরীফ :: বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে ৫ কিলোমিটার নতুন কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণের নামে ইট সোলিং খুড়ে জনভোগান্তি এখন চরমে। ৪ কোটি টাকা ব্যায়ে এ নির্মানাধীন কাজটি ২০২০ সালে জুন মাসের মধ্যে শেষ হবার কথা থাকলেও বাস্তবে চিত্র ভিন্ন।
সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাদ্রাসা বাজার পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তাটি ২০১৯ সালের মে মাসে শুরু হয়।
এলজিইডি দপ্তরের কেডিআরআই ডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে এ নতুন নির্মাণাধীন কাজের ব্যায় ধরা হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। ২০২০ সালের জুন মাসে কাজটি সমাপ্ত হবার কথা থাকলেও কিন্তু অদ্যবধি পর্যন্ত এ কাজের অগ্রগতি নেই। ধীর গতিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সদ্য মাত্র ইট সোলিং তুলে মাটি খনন করে মাসের পর মাস ফেলে রেখেছে। স্থানীয় জনসাধারণের চলাচলে জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এ জনগুরুত্বপূর্ন সড়কটি থেকে পশ্চিম বহরবুনিয়া, উত্তর ফুলহাতা ২ গ্রামের মানুষ চলচল করে। এ ছাড়াও ফুলহাতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক ২টি, মাদ্রাসা ১টি, মসজিদ ২টি ও ৪টি ব্যাংকসহ এ জনগুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী জনসাধারণসহ হাজার হাজার মানুষের চলাচলে একমাত্র মাধ্যম এ রাস্তাটি। স্থানীয়দের অভিযোগ বর্ষা মৌসুমের পূর্বে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মাটি কেটে ইট তুলে ফেলে রেখেছে এক বছরেরও বেশী সময় ধরে আমাদের দুভোর্গের অন্ত নেই। কবে শেষ হবে এ রাস্তার কাজ। তারা সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট গ্রæত কাজটি করার জোর দাবি জানান।
এ সর্ম্পকে বহরবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রিপন তালুকদার বলেন, পরিষদ থেকে সাড়ে ৪ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তাটি চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে শেষ হবার কথা ছিলো। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রাথমিকভাবে মাটি খনন করে ফেলে রেখেছে। জনগনের এ ভোগান্তির বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদেরকে জানিয়ে কোন প্রতিকার হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আশিক ইয়ামিন বলেন, বহরবুনিয়া ইউনিয়নে সাড়ে ৪ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়কে ২/৩ মাস কাজ করার পরে বন্ধ হয়ে যায়। পুর্নরায় কাজটি শুরু হলে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারনে কাজ স্থবির হয়ে যায়। মাটির চাহিদা নিয়ে স্থানীয়ভাবে জটিলতা হয়েছিলো পরবর্তীতে তা সমাধান হয়েছে। দু’ এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।