বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি হঠাৎ আঘাত হানে। ২৫-৩০ মিনিট স্থায়ী এ ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার নিশানবাড়িয়া, খাউলিয়া, বহরবুনিয়া, বারইখালী, পঞ্চকরণ, জিউধরা, হোগলাপাশা ও মোড়েলগঞ্জ পৌর এলাকায় অর্ধশত বসতঘর সহ গাছ পালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পৌরসভার বারইখালী গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকাম্মেল হোসেন ফকিরের বসত ঘর গাছ চাপা পড়ে তছনছ হয়েছে। নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে গাছ পড়ে ২৫টি বসতঘর ভেঙ্গে চুরমার হয়েছে বলে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু জানিয়েছেন।
ঝড়ে গাছ উপড়ে সাইনবোর্ড-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কের ক্ষতি হয়েছে। উত্তর ফুলহাতা ও ঘষিয়াখালী এলাকায় ১১ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইনের ৩টি খাম্বা ভেঙ্গে পড়েছে। এ ছাড়া হোগলাপাশা ও চিংড়াখালী ইউনিয়নে কয়েক হাজার কলাগাছ ভেঙ্গে কলা চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জিউধরার উত্তর ডেউয়াতলা, সোনাতলা গ্রামের তিনটি বসতবাড়ি গাছ পড়ে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। মৎস্য ঘেরের ২০-২৫টি গৈ ঘর উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
এ সম্পর্কে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান বলেন, আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নগুলোর চেয়ারম্যানদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ক্ষতির তালিকা করে জমা দেওয়ার জন্য।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করতে আরও সময় লাগবে।