মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গুজব ছড়ানো ছেলে ধরা সন্দেহে বৃহস্পতিবার সকালে কালিকাবাড়ি এলাকা থেকে মরিয়ম (৩ মাস ) শিশু কন্যাসহ মাতা আকলিমা আক্তারকে স্থানীয় জনতা ধরে পুলিশে দেয়। থানা পুলিশ অবশেষে জিজ্ঞেসাবাদ ও অনুসন্ধ্যান করে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে দত্তক নেওয়া ওই শিশুকে অভিভাবক সলে আহম্মেদ খোকন ও তার স্ত্রী আকলিমা আক্তার আখির কাছে শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে মরিয়মকে তুলে দেন।
এ সময় মোড়েলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রিয়াজুল ইসলাম, থানা অফিসার ইনচার্জ কেএম আজিজুল ইসলাম, ওসি তদন্ত ঠাকুর দাস মন্ডল, এসআই শিমুল মোল্লা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শিশু কন্যা মরিয়মের দায়িত্বে নেওয়া অভিভাবক সলে আহম্মেদ খোকন জানান, ৩ মাস ৭ দিন পূর্বে খুলনার দৌলতপুর থানার কালিবাড়ি এলাকা থেকে শিশু মরিয়মকে আবুল বাশার হাওলাদারের স্ত্রী রিনা বেগমের কাছ থেকে স্বেচ্ছায় ৭দিন বয়সে ওই শিশুকে স্টাম্পে লিখিত করে দত্তক নেয় তারা। পরবর্তীতে ওই শিশুটির নাম রাখেন মরিয়ম ।
দীর্ঘদিন ধরে মানসীক রোগে আক্রান্ত স্ত্রী আকলিমা ওই সন্তানকে নিয়ে পিতার বাড়ি খেজুর বাড়িয়ার উদ্যোশে বাস যোগে রওনা হলে পথিধ্যে কালিকাবাড়ি নামক স্থানে শিশুর কান্না কাটি দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেও হলে তাকে এলোপাতাড়ি জিজ্ঞেসা করলে এক পর্যায়ে বলইবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদে তাকে নিয়ে যায়। চেয়ারম্যান শাহাজাহান আলী উৎসুখ জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় পাঠান।
পুলিশ মরিয়মের প্রকৃত পিতা মাতাকে খবর দেন এবং তাদের জিজ্ঞেসাবাদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের আলোকে শিকার করেন ওই শিশুকে ৭দিন বয়সে সংসারের অভাবের তাড়নায় তারা নিঃসন্তান স্ত্রী সলে আহম্মেদের পরিবারের কাছে দত্তক দেন। ওই শিশুর প্রকৃত মাতা দিনমজুর রিনা বেগমের ২টি ৩ বছর বয়সি তিন্নি ও মিন্নি জমজ সন্তান রয়েছে। স্বামী আবুল বাশার হাওলাদার ঝাল মুরি বিক্রি করে জীবনযাপন করছে।
এ সর্ম্পকে থানা অফিসার ইনচার্জ কেএম আজিজুল ইসলাম জানান, স্থানীয় জনতা ছেলে ধরা সন্দেহে শিশু কন্যা মরিয়ম(৩মাস) তার মাতা আকলিমাকে ধরে দিলে বিষয়টি জিজ্ঞেসাবাদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে ছেলেধরা সন্দেও ঘটনাটি সঠিক নয়। সে ক্ষেত্রে দত্তক নেওয়া পিতা মাতার কাছেই ওই শিশুকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।