এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট থেকেঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় দু’ই দিনের ভারি বৃষ্টিতে সাড়ে ৫ হাজার মৎস্য ঘের ডুবে গেছে। পৌরসভাসহ নিচু এলাকার শতশত মানুষ ও গবাদিপশু পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুরু হওয়া অবিরাম ভারি বর্ষন চলতে থাকে শুক্রবার বেলা ৮টা পর্যন্ত। ভারি বর্ষনে মৎস্য খাতে ক্ষয়ক্ষতি বেশী হয়েছে। বেলা ৮টার পর থেকেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। এবারের বৃষ্টিতে সাম্প্রতিককালের ঘুর্ণিঝড় আম্ফান ও বুলবুলের চেয়ে মৎস্যখাতে ক্ষতি বেশী হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভূক্তভোগীরা।
আড়াই কোটি টাকা মাছ ভেসে গেছে। রেকড়িয় খালের শাখা প্রশাখায় বাঁধ দিয়ে বন্ধ করে রেখে পানি চলাচল প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে প্রভাবশালীরা।
উপজেলা মৎস্য অফিস ও এলাকাসূত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতি ও শুক্রবার এ দু’দিনের অবিরাম ভারী বর্ষণে উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়নের পঞ্চকরণ, খারইখালী, দেবরাজ, মহিষচরনী গ্রামের ১ হাজার মৎস্য ঘের ও পুকুর তলিয়ে গেছে।
জিউধরা ইউনিয়নের জিউধরা কাকড়াতলী, ডেউয়াতলা শনিরজোড়, বটতলা, চন্দনতলা, ঠাকুরানতলা, একরামখালী, সোমাদ্দারখালী, বরইতলা ২ হাজার পুকুর ও মৎস্য ঘের, বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ঘষিয়াখালী, শনিরজোর, উত্তরফুলহাতা, পশ্চিম বহরবুনিয়া ১ হাজার মৎস্য ও পুকুর, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের জিউধরা, আমুরবুনিয়া, গুয়াতলা, কুদঘাটা ১ হাজার মৎস্য ও পুকুর, মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নে গাবতলা গ্রামে পুকুর মৎস্য ঘের পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে।
এ দিকে মৎস্য অফিস সূত্রে জানাগেছে, দু’দিনের বর্ষণে ২০ টি গ্রামের মৎস্য ঘের, ছোট বড় পুকুর ৩ হাজার ২৪৬ টি মৎস্য পানির নিচে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এতে কমপক্ষে আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি স্বাধন হয়েছে।
এ সর্ম্পকে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার, আব্দুর রহিম বাচ্চু, মাহমুদ আলী, জাহাঙ্গীর আলম বাদশা ও রিপন তালুকদার জানান, দু’দিনের ভারী বর্ষণে মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীদের অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে হাজার হাজার পুকুর ও ঘেরের মাছ। সরকারিভাবে এদেরকে আর্র্থিক সহায়তা দিলে ক্ষতিগ্রস্ত এসব ঘের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির পরিমান কিছুটা পুষিয়ে উঠতে পারবে বলে তাদের ধারনা।
এ ব্যাপারে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার বিনয় কুমার রায় জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খোঁজ নিয়ে পানিতে নিমজ্জিত পুকুর ও ঘের মালিকদের প্রাথমিক ক্ষতির তালিকা নিরুপন করে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদেরকে অবহিত করা হয়েছে।
এ সর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, দু’দিনের বৃষ্টিতে যেসব ঘের তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের তালিকা নির্নয় করতে বলা হয়েছে।