বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নে জমিজমা বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মারপিট ও শিশু হত্যামামলা দায়ের করেছে।
বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার বরাবর আব্দুল হালিমের হাওলাদারে মা সুফিয়া বেগম এর আবেদনে জানাগেছে, ২১ মে বিকেলে বাইনতলা আজিজ ফরাজীর চায়ের দোকানের সামনে জাকির শেখকে চা খেতে নাবলার অজুহাতে পূর্ব শত্রæতার জেরধরে হাসান শেখকে মারপিট করে। হাসান শেখ গুরত্বর আহত হলে তাকে পার্শবর্তী মংলা ৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় হাসান শেখ মোড়েলগঞ্জ থানায একটি অভিযোগ দায়ের করে। হাসান শেখ এর অভিযোগ দায়েরে ফলে প্রতিপক্ষ ক্ষীপ্ত হয়ে তার বোন বেবিকে মারপিটে গর্ভপাত ঘটেছে এমন অভিযোগ এনে ২৬ মে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় উল্যেখ করা হয় ২১ মে মারপিটে বেবিকে মারপিট করায় তার ৫ মাসের গর্ভের সন্তান মারা যায়। এমন অভিযোগ এনে ৬ জনের নামে মামলা দায়ের করে।
শনিবার সরেজমি গেলে প্রায় অর্ধ শত মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়। তাদের সাথে কথা বলে জানাগেছে ,দু’পক্ষই পরস্পর পরস্পরের আত্মীয়। এদের মধ্যে জমিজমা ও মৎস্য ঘেরনিয়ে দির্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। আর এ বিরোধ নিয়ে দু’পক্ষই বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছে। কথা হয় বেবি বেগমের প্রতিবেশি রিনা বেগমের সাথে, তিনি বলেন ২৩ মে আমি লবন আনার জন্য বেবি বেগমের বাড়িতে যাই দুপুরের দিকে। তখন তাকে অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখা যায়। অসুস্থতার কারণ জানতে চাইলে সে বলে বারান্দায় গিয়ে দেখেন। আমি তখন বারান্দায় গিয়ে দেখি একটি ছোট বাচ্চা রক্ত মাখা অবস্থায় পড়ে আছে। তখন তিনি জানান, তার বেয়াই অসুস্থ হওয়ায় তাকে রাতের বেলা দেখতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে আসার পরে তার পেটে ব্যথা শুরু হয়। যে কারনে তিন দিন পড়ে তার মরা বাচ্চা ভুমিষ্ট হয়। এ সময় বেবী বেগমের ঘরে এক ছিল। প্রতিবেশী বিউটি বেগম বলেন তিনি বেলা অনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে বেবির বাড়িতে গেলে তখন তাকে বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখেন। তখন বেবি বেগম তাকে জানান, অসুস্থ বেয়াইকে দেখে আসার পর থেকে সে পেটে ব্যথায় ভূগছে। মনেহয় খারাপ বাতাস লেগেছে।
এ ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, দু’পক্ষ পরস্পর পরস্পরের আত্মীয়। এদের মধ্যে জমিজমা ও মৎস্য ঘের নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ রয়েছে। ২১ মে মারপিটের ঘটনায় বেবি বেগম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে উপস্থিত সকলে বলেন মারপিটের সময় বেবি বেগম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলনা।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মোশারেফ হোসেন বলেন, মামলাটি তনন্তাধিন আছে। মৃত ভূমিষ্ট হওয়া শিশুটি পোষ্টমর্টেমের জন্য পাঠান হয়েছে।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান বলেন, দু’পক্ষের মারামারি একই দিন হয়েছে সেক্ষত্রে মামলাটির তদন্ত পূর্বক সত্য ঘটনা উদ্ঘাটন করা হবে ন্যায় বিচারের সার্থে আমরা অধিকতর তদন্ত করব। তবে আসামির মা মোসা. সুপিয়া বেগমের জেলা পুলিশ বরাবরে আবেদনের কোন কপি আমি পাইনি।