এম.পলাশ শরীফ :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে লক্ষিখালী গ্রামে রেকর্ড়ীয় সরকারি খাল দখল করে মৎস্য চাষ করছেন প্রভাবশালীরা। পানি চলাচল বন্ধ হয়ে দুই গ্রামের শত শত পরিবারের ভোগান্তি এখন চরমে। স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের পালা বদলে হাত বদল হয়েছে একাধিকবার। খাল অবমুক্ত হয়নি এখনও। প্রশাসন নির্বিকার।সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, জিউধরা ইউনিয়নের বরইতলা লক্ষিখালী হয়ে ডেউয়াতলা অভিমুখি ১০ কিলোমিটারের সুন্দরবনের ভোলা নদীর প্রশাখা ভারানি খালটি এখন কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে। এ খালে মধ্যে ৮/১০টি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
আবার পলি পড়ে অনেক অংশে মিশে গেছে জমির সাথে। মোরেলগঞ্জ-মোংলা এ দুই উপজেলার সিমান্তবর্তী বড় লক্ষিখালী গ্রাম অপরপ্রান্তে মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নের সাহেবের মেট গ্রাম। এ খালের একটি অংশে বাঁধ দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী মাসুদ রানা ৪/৫ বছর ধরে বে-দখল করে মাছ চাষ করছেন। পাসেই আরেকটি বাঁধ দিয়ে বাইজিদ সরদার মাছ চাষ করছেন। খালটি এখন পানি চলাচল বন্ধ হয়ে বর্ষা মৌসুমে প্রতিনিয়ত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তি শিকার হতে হচ্ছে লক্ষিখালী ও পালের খন্ড গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের। এদিকে পলি পরে ভরাট হয়ে যাওয়া জমিতে বসতবাড়ি করে ৭/৮ টি পরিবার বে-দখল করে রেখেছে। সরকারিভাবে এদের কোন দলিলপত্র নেই। রাজস্ব খাজনা দিতে হচ্ছে না ওইসব পরিবারকে।
স্থানীয় ভূক্তভোগী গ্রামবাসি স্বপন মিস্ত্রী, জবেদ আলী, দুলাল মন্ডল, নুরুন্নবী হাওলাদার, ইকবাল হাওলাদার, শর্বেশ্বর হালদার, মজিবর শেখ সহ একাধিকরা বলেন, লক্ষিখালী হয়ে ডেউয়াতলা জনগুরুত্বপূর্ন এ খালটি পানি চলাচলের জন্য সরকারিভাবে কেটে অবমুক্ত করে দিলে ভোগান্তির শিকার হতে হবে না এসব ভূক্তভোগীরা খাল কাটার জোর দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের প্রতি।
সরকারি খাল দখল করে মাছ চাষী বাইজিদ সরদার বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ হাজার টাকা বছরে ডাক নিয়ে মৎস্য চাষ করছেন ওই খালে তিনি। তবে, পরিষদ থেকে কোন কাগজপত্র দেয়নি।
এ সর্ম্পকে ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর বাদশা বলেন, সরকারি খালে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ডাক অথবা লিজ দেওয়া কোন ইখতিয়ার নেই। তারা কিভাবে ওই খাল ভোগদখল করছে তিনি অবহিত নন।
এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সরকারি খাল দখল করে বাঁধ দিয়ে যারা মাছ করছেন বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিগ্রই খাল কেটে জনভোগান্তি দূর করা হবে।