বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিবাহ বাঁধা দেওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মী মো. আবুবকর সিদ্দিককে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে অভিযোগ দায়ের। প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের বানিয়াখালী গ্রামের বাবুল শিকদারের স্কুল পড়–য়া কণ্যা পার্শ্ববতী শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা মাধ্যমিক বিদ্যায়ের ১০ শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে পারিবারিকভাবে বাল্য বিবাহ দেয় খোন্তাকাটা গ্রামের আবু মুসা খানের সাথে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় বানিয়াখালী বড়পরী কমিউনিটি ক্লিনিকের (সিএইচসিপি) মো. আবুবকর সিদ্দিককে ছাত্রীর পিতা বাবুল শিকদার অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে লাঞ্ছিত করে।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে সোমবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বাস্থ্যকর্মী আবুবকর সিদ্দিক। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি দাস বলেন, বাবুল শিকদারের মেয়ে তার বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী। সে গত ২৩ জানুয়ারি থেকে অনুপস্থিত। তবে, বিবাহ হয়েছে কিনা সে বিষয়ে অবহিত নয়।
সিএইচসিপি আবুবকর সিদ্দিক বলেন, বাল্যবিবাহের বিষয় স্কুল ছাত্রীর পিতাকে আইনকানুন সর্ম্পকে অবহিত করা হলেও ওই পিতা তার ওপর চড়াও হয়ে গালমন্দ। একপর্যায়ে মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন। ছাত্রীর মা লাভলী খানম বলেন, তার মেয়ের শুধুমাত্র বাংলা সড়া হয়েছে। অনুষ্ঠানিকভাবে নিকাহ রেজিষ্টি করা হয়নি। আবুবকরের সাথে গালমন্দের কোন ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান বলেন, অভিযোগটি তদন্তের জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।