বাগেরহাটের মোল্লাহাটে উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার ১লা ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪ টায় উপজেলার রাজপাট সারুলিয়া আকবরিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে, গাওলা ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশ এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ২৬ জন নেতা কর্মী আহত খবর পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে যান এবং পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে। সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শিকদার জামাল উদ্দিন বলেন, ৫ নং গাওলা ইউনিয়নের কর্মী সমাবেশ ছিল সেখানে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতা জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান ও সেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু এবং বাগেরহাট জেলা কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মোল্লাহাট বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রিয়াজুল ইসলামের বক্তব্য চলাকালীন সময়ে বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হারুন আল রশিদের নেতৃত্বে একটি মিছিল উক্ত সভায় উপস্থিত হয়। এ সময় হাফিজুর রহমানের লোকজন স্লোগান দিতে থাকে, তাদের স্লোগান দিতে নিষেধ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে কর্মীসভার ব্যানার ছিঁড়ে সমাবেশে বাধা প্রদান করলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আমাদের পক্ষে অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন নেতা কর্মী আহতর হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৪ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, “আমার জনপ্রিয়তা, ঈর্ষান্বিত হয়ে বিরোধী পক্ষ নানা চাক্রান্ত করে যাচ্ছে, ৫ আগষ্টের পর ষড়যন্ত্র করে আমাকে দল অগঠনতান্ত্রিক এবং অসংবিধান ভাবে আমাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। শুধু এতেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, আমার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন “ঘটনার দিন দলীয় কর্মীদের নিয়ে সভা সফল করার লক্ষ্যে আমার নেতৃত্বে একটি মিছিল সেখানে উপস্থিত হলে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা আমার উপর অতর্কিত হামলা করা হয়। এতে আমার দলের অন্তত ১১ জন নেতাকর্মী গুরুতর জখম অবস্থায় মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।”
এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, “বিএনপির কর্মী সমাবেশ কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, একপর্যায়ে হাতাহাতি থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে, এতে বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়, পুলিশ বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”