বাগেরহাটের মোল্লাহাটে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, নগরকান্দি সপ্তপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য ও শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় সহ সীমাহীন দুর্নীতির বিচার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ওই বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধনে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ বাবলু মোল্লা বলেন, নগরকান্দি সপ্তপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪ জন কর্মচারী নিয়োগে ৫০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মফিজুর রহমান সহ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ জাকির বিশ্বাস ও প্রধান শিক্ষক মোল্লা সিদ্দিকুর রহমান। নিয়োগ বাণিজ্য / দুর্নীতির পূর্বাভাস পেয়ে উক্ত দূর্নীতি বন্দে নির্দেশনা দিয়েছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহীনুল আলম ছানা মিয়া, যে কারণে কয়েকদিন চুপ থাকে তারা। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান ওমরাহ হজ পালনের জন্য সৌদি গেলে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে তড়িঘড়ি করে এলাকার বাহিরে ফকিরহাট উপজেলায় বসে নিয়োগ কার্যক্রম/ অর্থ-বাণিজ্য সম্পন্ন করে ওই তিন দুর্নীতিবাজ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাবলু মোল্লা আরো বলেন, উক্ত নিয়োগ বাতিল পূর্বক নতুন করে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ দিতে হবে। এছাড়া টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিও করেন তিনি।
ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আমজাদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ মোল্লা, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক কবির কাজী ও অভিভাবক দুখু কাজীসহ অনেকে বলেন, বিদ্যালয়ের ৪’টি পদে যথাক্রমে কম্পিউটার অপারেটর মেহেদী হাসান বিশ্বাস, অফিস সহায়ক মাসুম খান, নিরাপত্তা কর্মী শরীফুল ইসলাম ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী শেখ বিপুল আহমেদ’কে দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ দিতে তাদের থেকে পঞ্চাশ লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মফিজুর রহমান সহ সভাপতি মোঃ জাকির বিশ্বাস ও প্রধান শিক্ষক মোল্লা সিদ্দিকুর রহমান। এছাড়া এসএসসি পরীক্ষার্থীদের থেকে বোর্ড নির্ধারিত ২০৪০/২১৪০ টাকার পরিবর্তে ৩০০০/৩৮০০ টাকা করে অবৈধভাবে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। উক্ত নিয়োগ বাতিল সহ তদন্তের মাধ্যমে ওই তিন ব্যক্তির সকল দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনানুগ বিচার দাবি করেন তারা।
প্রধান শিক্ষক মোল্লা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না, এছাড়া শিক্ষার্থীদের থেকে এসএসসির ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত টাকার সাথে সারা বছরের বেতন নেয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ জাকির বিশ্বাস বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মফিজুর রহমান ও ডিজির প্রতিনিধি থেকে সঠিক নিয়োগ দিছে।
নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতির বিষয় অস্বীকার করে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মফিজুর রহমান বলেন, যথাযথ নিয়মে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।