বাগেরহাটের মোল্লাহাটে পথচারী মামা-ভাগ্নিকে জিম্মি করে মোটা অংকের চাঁদা দাবী ও কাছে থাকা নগদ টাকা কেড়ে নেয়ার ঘটনায় হাতেনাতে তিন জনকে আটক করেছে মোল্লাহাট থানা পুলিশ। উপজেলার রাজনগর এলাকায় গত রবিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় মোল্লাহাট থানায় মালা রুজুসহ আটক তিন জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মোল্লাহাট থানা পুলিশ জানায়, ভাগ্নী শান্তা আক্তার সাথী (২১)’কে নিয়া তাহার মামা আঃ রহমান (৬৩) বাগেরহাট হইতে গোপালগেঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়না হয়। কঠোর লকডাউনের কারনে মহা-সড়ক এড়িয়ে খুলনা-মাওয়া পুরোনো সড়ক দিয়ে চলতে মোল্লাহাট থানাধীন রাজনগর এলাকায় আঃ রহমানের মটর সাইকেল বন্ধ হয়। এসময় স্থানীয় আসামী শাকিল মোল্লা তাদেরকে মটর সাইকেলের মিস্ত্রী দেখানোর কথা বলে তাহার বাড়ীতে নিয়া বসতে দিয়া ঘরের বাহির হইতে দরজা বন্ধ করে দেয়। প্রায় পাঁচ/সাত মিনিট পর আসামী শাকিল মোল্লা, নাঈম ইসলাম ও সালমান চৌধুরী সহ আরও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আসামীরা একত্রে আসিয়া ঘরের দরজা খুলিয়া মামা ভাগ্নীকে পাশাপাশি বসাইয়া ভিভিও ধারন করতে থাকে। এরপর আসামীরা আঃ রহমানের কাছে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাদার টাকা না দিলে তাদের ভিভিও ভাইরাল করিয়া দিবে বলিয়া হুমকি প্রদর্শন করে। আসামী শাকিল আঃ রহমানের মানি ব্যাগ বাহির করিয়া নিয়া মানি ব্যাগে থাকা ৯৭০০/-টাকা চাঁদা হিসাবে কেড়ে নেয় এবং বাকি টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করিতে থাকে। আঃ রহমান উপায়ান্ত না পাইয়া টাকা আনিয়া দেওয়ার কথা বলে। সন্ধ্যার মধ্যে টাকা আনিয়া দিতে হবে মর্মে আসামী তাহার ভাগ্নী শান্তা ও বাদীর ব্যহৃত মটর সাইকেল আটকাইয়া রাখে এবং সেখানে তাহারা মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ফেন্সিডিল সেবন করিতে থাকে। টাকা আনার প্রতিশ্রুত দিয়া আঃ রহমান ছাড়া পাইয়া থানায় আসিয়া মৌখিক অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক থানার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশের নেতৃত্বে জরুরী ডিউটিতে কর্মরত এস,আই/মঞ্জুরুল হক সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে যাইয়া তিন জন আসামীদের হাতেনাতে আটক পূর্বক ভিকটিম শান্তাকেসহ আঃ রহমানের মটর সাইকেল, জোরপূর্বক নেয়া ষ্টাম্প ও চেক উদ্ধার করে। এসময় তল্লাশি করিয়া আসামীদের হেফাজত হইতে ৩৪পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ বোতল ফেন্সিডিল ও ভয়-ভীতি প্রদর্শনে ব্যাবহৃত হাসুয়া জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে ঘটনাটি নিয়া মোল্লাহাট থানায় দুইটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। এঘটনায় সেমাবার আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
থানা অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশ বলেন, অপরাধী যতই শক্তিশালী হোক, এদের মতো আইনের আওতায় আসতে হবে।