শরীফ মাসুদুল করিম :: বাগেরহাটের মোল্লাহাটে এক পুলিশ পরিবারের বিরুদ্ধে (৪’গ্রাম সমন্বিত) মাতারচর, বুুড়িগাংনী, নরনিয়া, বসুন্দরীতলা ফজুলল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও জামে মসজিদের মুসল্লিদের অজু-গোসলের জন্য নির্মানাধীন পাকা ঘাট ভেগে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মাতারচর গ্রামে গত মঙ্গলবার গভীররাতে এ ঘটনা ঘটে। ব্যক্তি স্বার্থে লোভী পরিবারের সমাজ বিরোধী এহেন কর্মে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।
এবিষয়ে মাদ্রসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও অজু-গোসলের ঘাট নির্মাণ শ্রমিকসহ স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ প্রায় তিন যুগ ধরে এ মাদ্রসা ও এতিমখানা এবং জামে মসজিদের মসল্লিারা সংলগ্ন ওয়াপদার পুকুরে অজু-গোসল করে। এছাড়া স্থানীয় সর্বসাধারণের মতে ওই পুকুরে মাদ্রসার পক্ষ থেকে মাছ চাষ করা হয়। কাচা ঘাটে অজু-গোসলে সমাস্যা হওয়ায় ওই স্থানে পাকা ঘাট করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অপরদিকে ওয়াপদার জমি দখলের উদ্দেশ্যে ওই পুকুর সংলগ্ন জমির মালিক পুলিশ কর্মকর্তা আজিজুর ও তার ভাই ইমদাদুল গং তাদের বাড়ির পুরনো রাস্তা থাকলেও নতুন করে রাস্তা করার অজুহাতে নির্ধারিত স্থানে পুকুরের মাঝ বরাবর ঘাট নির্মাণে বাধা দেয়। যেহেতু বৃহত/সর্বসাধারণের স্বার্থে ঘাট নির্মিত হবে, সেহেতু বাধা উপেক্ষা করে গত সোমবার পাকা ঘাট নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এরপর মঙ্গলবার গভীররাতে নির্মাণাধীন ওই ঘাট ভেঙ্গে ফেলা হয়। তারা আরো জানান, ওই পুকুর/জমি দখলের জন্য ওই পুলিশ কর্মকর্তা গুটি কয়েক লোককে কিনে ফেলেছে। যারা বলছে রাস্তায় আর কতটুকু জমি ? দিলে লাভ আছে, দারোগাকে দিয়ে প্রয়োজনে একটু সরে ঘাট বাধাই করে দেয়া হবে। স্থানীয়রা আরো জানান, এহেন কোন অনৈতিক প্রস্তাব মেনে নেয়া হয় নাই আর ভবিষ্যতেও মানা হবে না।
পুলিশ কর্মকর্তা তার কর্মস্থলে (ঢাকা) থাকায় তার ভাই ইমদাদুলসহ পরিবারের অন্যান্যরা জানান, তাদের বাড়ির জন্য যৌথ রাস্তা আছে, কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তা আজিজুর বাড়ি আসে গাড়ি নিয়ে, সে জন্য পৃথক রাস্তা দরকার। তাই তারা এক/দেড় লাখ টাকা দিয়ে ঘাট বাধাই করে দিতে চেয়েছেন। তবুও ঘাট নির্মাণ করায় তারা বাধা দিয়েছেন ঠিক, কিন্তু তারা ভাঙ্গে নাই। এছাড়া বাগেরহাট ওয়াপদা অফিসের এক প্রকৌশলীর সাথে কথা হয়েছে, তিনি তাদের রাস্তা করতে দিবেন বলেও জানান ইমদাদুল কাজি।