বাগেরহাটের মোল্লাহাটে মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে ঘের থেকে তিন লক্ষাধিক টাকার মাছ লুটে নেয়াসহ জোর পূর্বক দখলচ্যুত করার অভিযোগ করেছে লিজ গ্রহীতা। উক্ত অভিযোগের জবাবে পাল্টা অভিযোগ করেছেন মালিক পক্ষ। মোল্লাহাট উপজেলাধীন ২০ নং গাংনী মৌজার ২.৭৩ একরের একটি মৎস্য ঘের লীজ গ্রহীতা ও দাতা উভয়ে উভয়ের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি এ অভিযোগ করছেন।
ওই ঘেরের লিজ গ্রহীতা গাংনী গ্রামের রফিক শেখের অভিযোগে প্রকাশ, তিনি যথারীতি লিজের টাকা পরিশোধ করেছেন। এমনকি তার হিসেবে মালিক পক্ষের জিহাদুল শেখকে ৮৪ হাজার টাকা বেশী দেয়া হয়েছে। যার বিনিময়ে আরো দুই বছর তিনি ঘের ভোগ করতে পারবেন। অতচ গত ৩০ এপ্রিল তার লিজের ঘেরে অনধিকার প্রবেশ করে প্রায় তিন লক্ষ টাকার মাছের ক্ষতি করে জিহাদুল শেখ। তিনি ওই ঘটনার বিচার দাবীতে ওই দিনই মোল্লাহাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ যথারীতি ঘের (ঘটনা স্থল) পরিদর্শন করলেও প্রভাবশালী মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই বলেও জানান তিনি। যে, কারনে মালিক পক্ষ (আজ) ৩০ মে রবিবার সকালে ২০/২৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত পাঠায় ওই ঘেরে। দুর্বৃত্তরা ঘেরের বাকি যে অল্প কিছু মাছ ছিলো তা আবার ধরে আতœসাত করে। এছাড়া জবর দখল করতে মাটি খননসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড করে। এসময় তিনি জীবনের ভয়ে ঘেরের কাছে যান নাই বলেও উল্লেখ করেন। লিজ গ্রহীতা রফিক এসকল ঘটনার যথাযথ প্রতিকার দাবীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করছেন।
মালিক পক্ষের অভিযোগে প্রকাশ, ২০ নং গাংনী মৌজার এস,এ, ৩৮৬ নং খতিয়ানের ২.৭৩ একরের একটি মৎস্য ঘের নগরকান্দি এলাকার মোঃ জিহাদুল শেখ তার চাচা অবঃ পুলিশ সুপার মুজিবর রহমানের পক্ষে গত ০১/০৩/২০১৫ তারিখে গাংনী নলডাঙ্গা এলাকার রফিক শেখকে বার্ষিক পঞ্চাশ হাজার টাকায় লিজ দেন। ওই ঘের লিজের টাকা সঠিকভাবে পরিশোধ না করায় মালিকের পক্ষে জিহাদুল শেখ বারংবার ঘের ছেড়ে দিতে বলে রফিক শেখ’কে। রফিক শেখ বিভিন্ন কৌশলে ঘের দখলে রাখার পায়তারা করাসহ জিহাদুলকে হুমকী দেয়। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে গাংনী এলাকার জনৈক মাসুদকে উক্ত ঘের লিজ দেয়া হয়। ফলে মাসুদ দখলে গেছেন বলে জানান মালিক পক্ষের জিহাদুল শেখ। জিহাদুল শেখ আরো বলেন, রফিক শেক যা কিছু অভিযোগ করছে সবই মিথ্যা। এঘটনার যথাযথ প্রতিকার দাবী করেন।
অভিযোগের তদন্তকর্তা এসআই লিয়াকত বলেন, তিনি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করছেন। এ ছাড়া যথাযথ ব্যাস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।