বাগেরহাটের মোল্লাহাটে প্রতিবেশী কর্তৃক নিষ্কন্টক জমির জবরদখল ও সীমাহীন অত্যাচার হতে মুক্তি পেতে দীর্ঘদিন ধরে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে অসহায় বিধবা সাহেরা খাতুন (৬০) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। উপজেলার কাচনা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মুত রওশন আলী ভুইয়ার স্ত্রী অসহায় সাহেরা খাতুন দীর্ঘদিনেও কোন সমাধান বা প্রতিতকার না পাওয়ায় গত শনিবার ২৭ নভেম্বর থানায় অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, সাহেরা খতুন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রওশন আলী ভুইয়ার একটি মাত্র কন্যা ছাড়া আর কোন ছেলে সন্তান নাই। উক্ত কন্যাকে বিয়ে দেযারপর ১১ বছর পূর্বে মৃত্যু বরণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রওশন আলী ভুইয়া। কোন ছেলে সন্তান না থাকায় ও স্বামীর মৃত্যুতে চরম অসহায় হয়ে পড়েন সাহেরা খাতুন। এ অসহায়ত্বের সুযোগে একই গ্রামের/ প্রতিবেশী মোসলেম ভুইয়ার ছেলে কালা ভুইয়া (৪০) মৃত মুক্তিযোদ্ধার নিষ্কন্টক ২১ শতক জমি জবর দখল করেন। এছাড়া জীবন নাশের জন্য দিনে ও রাতে যখন-তখন ধারালো অস্ত্র নিয়ে সাহেরা খাতুনকে ধাওয়া ও অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করা সহ সার্বক্ষণিক ভীতির মধ্যে রাখে জোর দখলকারী কালা ভুইয়া। সাহেরা খাতুন আরো জানান, সীমাহীন অত্যাচারে জীবনের ভয়ে ও মুক্তির আশায় অধিকাংশ সময় বাড়ি ছেড়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি। এ নিয়ে গত কয়েক বছরে একাধিকবার থানা ও স্থানীয় পর্যায় বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কালা ভুইয়া কিছুই মানে না। কান্না জড়িত কন্ঠে সাহেরা খাতুন বলেন, শুনছি থানার ওসি ভালো মানুষ, তাই আবার থানায় অভিযোগ করছি। অন্যায়ভাবে যেন তার জমি জোর দখল করতে না পারে ও হত্যার উদ্দেশ্যে যেন তেড়ে না আসে এইটুকু দাবীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্থক্ষেপ প্রার্থনা করছেন সাহেরা খাতুন।
কালা ভুইয়া বলেন, ধারালো অস্ত্র কি তা আমি জানি না, আমার মত লোক কি গালা-গালি করতি পারে ? ওই মহিলা ভালো না।
মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাস বলেন, থানায় অভিযোগ হয়েছে এবং চুনখোলা ক্যাম্পের আইসিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিষয়টি যাতে ন্যায়ত ও শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়, সে জন্য সাধ্যমত চেস্টা করবেন বলেও জানান তিনি।