বাগেরহাটের মোল্লাহাটের বিভিন্ন বিলে দীর্ঘদিন ধরে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করা হচ্ছে। এমন খবরে পাখি শিকারিদের ধরতে বাগেরহাটের মোল্লাহাটের কোদালিয়া বিলে অভিযান চালানো হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মোল্লাহাট উপজেলা প্রশাসন সোমবার ভোরে বিলের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান চলাকালে দুইজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আটক দুইজনের মধ্যে একজন পাখি শিকারী এবং অপরজন পাখি ব্যবসায়ী। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ৪০টি পাখি, ফাঁদ, সাউন্ডবক্স এবং ব্যাটারিসহ পাখি শিকারের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জমান উদ্ধার করা হয়।
পরে আটক দুইজনের মধ্যে ব্যবসায়ী বিজন বাড়ৈকে ১৫ দিনের কারাদন্ড এবং শিকারি শরৎ রায়কে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যামান আদালত। মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদ হোসেনের নেতৃত্ব পাখি শিকারিদের ধরতে ওই অভিযান পারিচালনা করা হয়।
আটক পাখি ব্যবসায়ী বিজন বাড়ৈ (৩৮) বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার আড়ুয়াডিহি গ্রামের বিষ্ণু নাথ বাড়ৈ’র ছেলে এবং শিকারি শরৎ রায় (৩৬) একই গ্রামের বলাই রায়ের ছেলে।
শিকারিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা বিভিন্ন প্রজাতির পাখিগুলোকে পরে মোল্লাহাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবমুক্ত করা হয়।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, বিভিন্ন বিলে ফাঁদপেতে পাখি শিকার করা হচ্ছে এখন খবরের ভিত্তিত্বে শিকারিদের ধরতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা বিভিন্ন বিলে অভিযান পরিচালনা করছেন।
মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদ হোসেন জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া বিলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে একজন পাখি শিকারি এবং একজন পাখি ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ৪০টি পাখি, বেশকিছু ফাঁদ এবং সাউন্ডবক্সসহ পাখি শিকারের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতে ব্যবসায়ীকে ১৫ দিনের কারাদন্ড এবং শিকারিকে পাঁচহাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মোল্লাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুল আলম ছানা পাখি শিকার না করার জন্য এলাকাবাসির প্রতি অনুরোধ জানান।