মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে দূর্যোগ সহনীয় ২৫টি ঘর পাচ্ছেন হতদরিদ্র পরিবার। গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণা-বেক্ষন(টিআর)/গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কা-বিখা) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্ধের অর্থ দিয়ে তৈরি গৃহহীন মানুষের জন্য ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ২শ’ ৭৫ টাকা ব্যায়ে। ২৫টি বাড়ি পাচ্ছে এ উপজেলার হতদরিদ্ররা।
গত ১৩ অক্টোবর আর্ন্তজাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবসে সকাল সাড়ে ১০ টায় বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয়ন কেন্দ্র এবং দূর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ-এর উদ্ধোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ দূর্যোগ সহনীয় ঘরের নাম ফলকে লেখা ছিলো “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র অবদান” টি আর কাবিটা কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ। তারই ধারাবাহিকতায় এ প্রকল্পের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে হতদরিদ্র ২৫টি পরিবারে মিলল মাঁথাগোজার ঠাই।
মঙ্গলবার সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, তেলীগাতি ইউনিয়নে আব্দুর রাজ্জাক খান, পঞ্চকরনের মো. শুকুর মজুমদার, পুটিখালীর রেনু বেগম, দৈবজ্ঞহাটীর আলী হাসান শেখ, রামচন্দ্রপুরের রহিমা বেগম, মিলন সাহা, চিংড়াখালীর শাহদাৎ হোসেন শেখ, হোগলাপাশার আল আমিন শেখ, বনগ্রামের আশা লতা কুন্ডু, বলইবুনিয়ার শহিদুল ইসলাম, হোগলাবুনিয়ার রমিজ উদ্দিন, বহরবুনিয়ার মোহাম্মদ আলী, হিমাংশু কুমার হালদার, জিউধরার সুচিত্রা মজুমদার, অমল বাছার, ধিরেন বিশ্বাস, নিশানবাড়িয়ার ছকিনা খাতুন, শহিদুল ইসলাম মৃধা, শাহ আলম, বারইখালীর রেজাউল মোল্লা, মোড়েলগঞ্জ সদও ইউনিয়নের চাঁন মিয়া তালুকদার, খোকন হোসেন হাওলাদার এবং খাউলিয়ার মিন্টু কাজী, আল আমিন হাওলাদার ও মো. রুহুল আমিন।
কথা হয় সুবিধাভোগী খাউলিয়ার ইউনিয়নের সন্ন্যাসী গ্রামের হতদরিদ্র মিন্টু কাজী’র স্ত্রী আসমা বেগমের সাথে তিনি জানান, তাদের পরিবারের মাথাগোঁজার ঠাই ছিলোনা। সপ্ন পূরন করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কখনও তিনি সপ্নেও ভাবেনী এ রকম একটি বাড়ি হবে তার পরিবারের। প্রধানমন্ত্রী’র জন্য তিনি দু’ হাত তুলে দোয়া করেন। তাদেরমত এ রকম গরিব মানুষের জন্য রাষ্ট্রক্ষমতায় অভিভাবক হিসেবে সার্বক্ষনিক পাশে থাকেন যেনো শেখ হাসিনা।
এ সর্ম্পকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২শ’ ২০ বর্গ ফুটের প্রতিটি ঘরে থাকবে দু’টি কক্ষ, একটি করিডর, একটি বাথরুম ও একটি রান্না ঘর। দূর্যোগ মোবাকেলায় সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যায় হচ্ছে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, দূর্যোগ সহনীয় প্রকল্পের মাধ্যমে যারা সুবিধাভোগীর তালিকায় ঘর পাচ্ছেন। কারো এক বা দুই শতাংশ জায়গা আছে কিন্তু ঘর নেই বা ঘর আছে। তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে এ রকম হতদরিদ্র পরিবারকে এর আওতায় আনা হয়েছে এবং তারাই পাচ্ছেন এ দূর্যোগ সহনীয় ঘর।