বাগেরহাট : বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে তৃতীয় ধাপে ৩০ জানুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে শেষ মুর্হুতে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। পিছিয়ে নেই নারীরাও। অভিযোগ উঠেছে আচারণ বিধি লঙ্খনের।
মঙ্গলবার বিকেলে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছে ৬জন। মোট ভোটার ২৩শ’ ১৯ জন। এ ওয়ার্ডে নারী ভোটার বেশী। ৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে নারী রয়েছে দুটি ওয়ার্ডে ২ জন।
প্রতিক নিয়ে মাঠে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন যারা বর্তমান কাউন্সিলর মো. নান্না শেখ(পাঞ্জাবি), আবুল কালাম আজাদ(টেবিল ল্যাম্প), মো. আবু শেখ(ব্রীজ), গিয়াস উদ্দিন তালুকদার(পানির বোতল), উপজেলা মহিলা শ্রমীক লীগের সভাপতি তাসলিমা আক্তার আমিরোন(উটপাখি), আমজাদ হোসেন শেখ(ডালিম)। এ ছাড়া নারী সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ সংরক্ষিত আসনটি প্রার্থী রয়েছেন ৬ জন। পুরুষ ও নারী প্রার্থী সমানে সমান। হাছিনা বেগম(অটোরিক্সা), রোকেয়া বেগম(টেলিফোন), রুমানা খানম(কলম), কহিনুর বেগম(জবাফুল), মরিয়ম বেগম(চশমা) ও নাছিমা বেগম(আনারস) প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
অপরদিকে ৭নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৫ জন প্রার্থী রয়েছে, এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১৯শ’ ৫৩ জন। এখানেও নারী ভোটার বেশী। প্রার্থীরা হলেন উপজেলা যুবলীগের সদস্য এস.এম ওয়ালিউর রহমান সুজন(উটপাখি), বর্তমান কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন(টেবিল ল্যাম্প), মো. দুলাল বিশ্বাস(পাঞ্জাবি), শেখ সেলিম(ডালিম)ও রিপা আক্তার(পানির বোতল)। এ ওয়ার্ডেও একমাত্র নারী একজন প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এ ওয়ার্ডে সংরক্ষিত আসন ৭, ৮ ও ৯। মোর্শেদা আক্তার(আনারস) ও বর্তমান কাউন্সিলর সাদিয়া সুলতানা(চশমা) প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এদিকে ১নং ওয়াডের্র কাউন্সিলর প্রার্থী কাজী জাকির হোসেন বাচ্চু(পানির বোতল), মো. শাহীন শেখ(ডালিম), এইচএম শহিদুল ইসলাম(উটপাখি), আবুল কামলাম(পাঞ্জাবি) প্রতিক নিয়ে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ওয়ার্ড দুটিতে প্রার্থীদের মধ্যে একের অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আচারণ বিধি লঙ্খনের। কর্মীদেরকে হুমকি, মোটর শোভাযাত্রা, মিছিল, রঙ্গিন বিলবোর্ড, ভয়ভীতিসহ নানা অভিযোগ তুলছেন। প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীরা অনেকেই মনে করছেন সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নতুন মুখ কাউন্সিলর হতে পারেন। বর্তমান কাউন্সিলরা বলছেন বিগত দিনে ওয়ার্ডগুলোয় উন্নয়নের কথা চিন্তা করে সাধারণ ভোটাররা পুনরায় তাদের বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয় করবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটানিং অফিসার মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আচরণ বিধি লঙ্খনের দায়ে ইতোমধ্যে অনেক প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে। থানাও পাঠানো হয়েছে, অপসারণ করা হয়েছে বিলবোর্ড, অনেকে মুচলেকা দিয়েছে। সুষ্ঠু প্রচারণা চলছে বলে তিনি মনে করেন।