মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে কয়েক হাজার মানুষ ওয়াবদার নির্মানাধীন বেড়িবাধ কেটে দূষিত পানি অপসারণের চেষ্টা করছে। সোমবার বেলা ৮টা থেকে ৩৫/১ পোল্ডারের ২.৫ কিলামিটারের মাথায় ফাঁসিয়াতলা এলাকায় এ কাজ শুরু করেছেন। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের জলোচ্ছ¡াসে নদীর তীরবর্তী আমতলী, পূর্ব বরিশাল, মধ্য বরিশাল ও ফাঁসিয়াতলা গ্রামের প্রায় ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। স্লুইসগেট না থাকায় খালের পানি পচে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ১৯৬২ সাল থেকে এই পয়েন্ট ৩টি স্লুইস গেট ছিল। ১৯৯৮ সালের বেড়িবাঁধের সময় এখানে একটি গেট রাখা হয়। বর্তমানে চলমান বেড়িবাঁধ নির্মানের ডিজাইনে কোন স্লুইস গেট রাখা হয়নি। ফলে জলোচ্ছাসে ঢুকে পড়া পানি এখন স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত করছে।
ভ‚ক্তভোগী এলাকার শত শত লোক সোমবার ফাঁসিয়াতলা খালের পানি নদীতে অপসারণের জন্য নির্মানাধীন বাঁধের কাজ বন্ধ থাকা নিচু এলাকা থেকে কাটতে শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান বলেন, জলবদ্ধতার বিষয়ে কেউ জানায়নি তবে আজ এসিল্যান্ডকে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সম্পর্কে পানিউন্নয়ন বোর্ড খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, অনুমোদিত ডিজাইন অনুসারে বেডিবাধের কাজ চলছে। জলাবদ্ধতার বিষয়ে কেউ জানায়নি। সরেজমিনে দেখে জনভোগান্তি লাঘবে যা করা দরকার তাই করা হবে।