অনলাইন ডেস্কঃ যশোরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২১ দিনে জেলায় ৫৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে যশোর জেনারেল হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন ২৬ জন। এদিকে প্রতিদিন রোগী বাড়লেও সরকারি এই হাসপাতালে নেই ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের কোন ব্যবস্থা।
ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের এনএস-১, আইজিজি ও আইজিএম পরীক্ষার জন্য বেসরকারি ক্লিনিক/হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে রোগীদের। পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল পেতেও বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রোগী ও তার স্বজনরা। সরকারি হাসপাতালে মিলছে শুধু কমপ্লিট বস্নাড কাউন্ট (সিবি) পরীক্ষা।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (চলতি দায়িত্ব) ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে সিবিসি পরীক্ষা করানো যাচ্ছে। রিএজেন্ট না থাকায় ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের বাকি পরীক্ষাগুলো করা যাচ্ছে
না। বাধ্য হয়ে রোগীদের বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ রোগীদের সঙ্গেই রাখা হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তদের। সেখানে পা রাখারও জায়গা নেই। বেড ও মেঝেতে রোগীর ছড়াছড়ি।
যশোরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ইমদাদুল হক রাজু বলেন, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এ জেলায় ৫৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২৬ জন যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্ত অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তিনি আরও বলেন, সিভিল সার্জন অফিসে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ সেল খোলা হয়েছে। সর্বস্তরের স্বাস্থ্যকর্মীকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়াও ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য শিক্ষা সচেতনতার জন্য জেলা পর্যায়ে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারাও কাজ করছে। তথ্য অফিসের সহযোগিতায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।