যশোর প্রতিনিধিঃযশোর মণিরামপুরের সরকারি চাল কালোবাজারের ক্রয়-বিক্রয়ের মামলায় আটক শহিদুল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছে। এ চাল ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে তারা ৫জন জড়িত ছিলেন। তবে ত্রাণের চাল হওয়ায় তিনি ক্রয় করেনি বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছে।
রোববার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম আসামির এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
শহিদুল ইসলাম তাহেরপুর গ্রামের সোলাইমান মোড়লের ছেলে। এর আগের এ মামলায় আটক ট্রাক চালক ও চাতাল মালিক মামুন স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছে।
শহিদুল ইসলাম জানিয়েছে, সে দীর্ঘ দিন ধরে ধান-চালের ব্যবসা করে আসছে। তার চাতাল ও রাইচ মিল আছে। গত ৩০ এপ্রিল তিনি খাদ্যগুদামে যায় মিলের নামে কোন বরাদ্ধ হয়েছে কিনা জানতে। গোডাউন থেকে বের হয়ে আসার সময় তিনি কুদ্দুস, জগদীশ ও মামুন চাল কেনা বেচার কথা বলছে। এ সময় তাদের কাছে গেলে তারা চাল কেনার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সরকারের ত্রানের চাল হওয়ায় তিনি কিনতে অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে মামুন –কুদ্দুস ও অপর একজনের কাছ থেকে ১৬ মেট্রিক টন চাল কেনে। পরদিন খুলনা থেকে গুদামে চাল আসলে খাদ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান এক ট্রাক চাল মামুনের চাতালের গুদামে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে বাজারের লোকজনের কাছ থেকে জেনেছেন বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল রাতে মণিরামপুর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিতিত্তে বিজয়রামপুরের ভাইভাই রাইচ মিলের গুদামে অভিযান চালায়। এ সময় সরকারের কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসূচীর ৫৪৯ বস্তা চালসহ মিল মালিক মামুন ও ট্রাক চালকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে এসআই তপন কুমার সিংহ বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে ডিবি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শহিদুল ইসলামকে আটক করে রোববার আদালতে সোপর্দ করেন। শহিদুল ঘটনার বিষয় জনিয়ে আদালতে ওই স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছে।