নাফি উজ জামান পিয়াল, যশোর প্রতিনিধি:: বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশে তিনজন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। যশোরের মানুষের মধ্যেও বিরাজ করছে আতঙ্ক। হঠাৎ করে মাস্কের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরের বিভিন্ন ফার্মেসিসহ দোকানগুলোতে মাস্কের দাম বেড়ে গেছে। ৫ টাকার মাস্ক বিক্রয় হচ্ছে ২০-৩০ টাকায় আর একটু উন্নতমানের মাস্ক বিক্রয় হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায় যার দাম পূর্বে ছিল ৩০ টাকা। শহরের বিভিন্ন দোকানগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে মাস্ক কিনতে আসা ক্রেতাদের ভিড়। যশোরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানায় অবস্থিত আমির বস্ত্রালয়, তূর্য গার্মেন্টসহ অনান্য দোকানগুলোর চিত্রও একই । তারাও ৫ টাকার মাস্ক বিক্রয় করছে ২০ টাকায়। তাদের পাশের দোকান মনির গার্মেন্ট মাস্ক বিক্রয় করছে ১০ টাকায়। কিছু দোকানে সাংবাদিক গিয়েছে শুনে ২০ টাকার মাস্ক ১০ টাকায় বিক্রয় করতে দেখা গেছে। দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা থেকে তারা মাস্ক পাইকারী ক্রয় করেন । পাইকারী ব্যবসায়ীরা মাস্কের দাম বাড়িয়েছে বলে তারাও দাম বাড়িয়েছে। এক দোকানদার বলে একটি মাস্ক পাইকারী ১২ টাকায় ক্রয় করে ২০ টাকায় বিক্রয় করছেন তিনি। পাইকারী ব্যবসায়ীরা যদি দাম কমিয়ে দেয় তাহলে তারাও দাম কমিয়ে দিবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে কথা বললে তারা জানায়, যদি কেউ মাস্কের দাম বেশি রাখে তাহলে বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে সেটি তদন্ত সাপেক্ষ্যে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।