নাফি উজ জামান পিয়াল, যশোর প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সারা দেশের মতো যশোরেও চলছে লকডাউন। ফলে সাধারণ মানুষসহ খেটে খাওয়া মানুষগুলোর অবস্থা খুব খারাপ। টানা দুইমাস ঘরতে বের হতে না পারায় দারিদ্রতার চরম পর্যায়ে পৌছে গিয়েছে এমন মানুষগুলো। করোনার প্রভাবে গত মার্চের ১৮ তারিখ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। তারপর থেকেই স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল প্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। সেই সাথে বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন কোচিং সেন্টারগুলোও। ফলে কোচিং সেন্টারের সাথে জড়িত মানুষগুলো এখন হতাশাগ্রস্থ অবস্থায় আছে। যশোরে ছোট বড় প্রায় কয়েক হাজার কোচিং সেন্টার রয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া এসব কোচিং সেন্টার গুলোর শিক্ষকরা বেকার হয়ে পড়েছে। যার খরব সরকার বা প্রশাসনের কেউ রাখছে না। জানা যায়, এসব কোচিং সেন্টারের অধিকাংশ শিক্ষকরা যশোরের বিভিন্ন কলেজে পড়াশুনার পাশাপাশি এসব কোচিং সেন্টারের সাথে যুক্ত আছেন। কোচিং সেন্টার থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই পড়াশুনার খরচসহ আনুসাঙ্গিক খরচ বহন করে।
কিন্তু কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকায় তারা এখন দু:চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।
যশোরের জিরো পয়েন্ট মোড়ে অবস্থিত রাইজিং স্টার নামে এক কোচিং সেন্টারের পরিচালক মো: মেহেদী হাসানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ২ মাস ধরে কোচিং সেন্টার বন্ধ আছে, ফলে কোচিং সেন্টারের প্রায় ২২ জন শিক্ষকের পারিবারিক দিকসহ অনান্য সমস্য সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে তার কোচিং সেন্টারের প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীর পড়াশুনা নিয়ে তিনি তার হতাশার কথা জানান। আর এসব বিবেচনা করে তারা অনলাইনের মাধ্যমে পাঠ দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
সুব্রত’স স্পেশাল ব্যাচের পরিচালক সুব্রতর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার এখানে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি না, তারপরও যে কয়েকজন আছে তাদের থেকে প্রাপ্ত সম্মানী দিয়ে দৈনন্দিন খরচ বহন করি কিন্তু এখন তো সেটাও আর হচ্ছে না। সরকারের আদেশ মেনে চলছি।
এদিকে বাসা বাড়িতে গিয়েও পড়ানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে হোম টিউটরদেরও অবস্থা একই রকম। যশোর সরকারী এম এম কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী জানায়, সে বাসাবাড়িতে গিয়ে কয়েকজন ছাত্রকে পড়ায়। কিন্তু এই মহামারির সময় সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অভিভাবকরা এখন তাদের বাচ্চাকে পড়াতে চাচ্ছেন না। ফলে বেকার অবস্থায় আছি।
এসকল কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও হোম টিউটরদের দাবি সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেন তাদের সহযোগিতা করা হয়।