যশোর প্রতিনিধি: যশোর শহরতলীর সানতলা এলাকার পেপসি কোম্পানির মধ্যে থেকে ৮০ বস্তার চাল উদ্ধার ও দুই জন আটকের বিষয়টি ‘ষড়যন্ত্র’ বলছে ভুক্তভোগীরা। পুলিশও তদন্তে সরকারি চাল আত্মসাতের বিষয়টি সত্যতা পায়নি। এজন্য আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করে। বিচারক প্রতিবেদন দেখে মামলা খারিজ করে আটক রাকিব হাসান শাওনসহ দুই জনের মুক্তির আদেশ দেন।
সূত্র মতে, খাদ্য সংকটে পড়া দেশের মানুষের জন্য যশোর শহরতলীর সানতলার একটি গোডাউনে ত্রাণ সরবরাহের জন্য প্যাকেট করা অবস্থায় গত ৭ এপ্রিল যশোর জেলা ডিবি পুলিশ বিপুল পরিমাণ চাল, ডাল, আলু জব্দ ওই লামালের মালিক হিসেবে আটক করে যশোর জেলা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য ও বাঘারপাড়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান শাওনকে। অভিযোগ ছিল, ওই গুলো সরকারি ত্রাণের চাল। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে শাওনকে পাঠায় জেলহাজতে। ৮ এপ্রিল আদালত শাওনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন দেয়ার জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার সময় দেন। এদিনই সকালে বাঘারপাড়ার খাজুরা বাজারে দেলোয়ার এন্ড ব্রাদার্সে তদন্তে যান সহকারী কমিশনার (ভূমি), বাঘারপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং সহকারী খাদ্য পরিদর্শক। তারা সেখানে তদন্ত করে শাওনের কেনা চালসহ সকল মালামাল বৈধ বলে ঘোষণা দেন।
তদন্ত কর্মকর্তা যশোর জেলা ডিবি পুলিশের সহকারী পরিদর্শক অরুণ কুমার দাস কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং
তদন্ত শেষে তাদের আদাল থেকে অব্যাহতি প্রতিবেদন দাখিল করেন। তিনি তার প্রতিবেদনে বলেন, সার্বিক তদন্তে জানা যায় জব্দকৃত মালামাল গরীব ও দুস্থদের মাঝে বিলি বন্টনের উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে জব্দকৃত মালামাল মজুদ রাখেন। মামলায় ফৌজদারি দ-বিধির ৫৪ ধারায় আনা অভিযোগ হতে অব্যাহতি দেয়ার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিবেদন দেন। বিচারক রাকিব হাসান শাওন ও তার বন্ধু হাসিবুল হোসেনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে মামলা খারিজ করে দেন। এবং রাকিব হাসান শওন ও হাসিবুল হোসেন শান্তকে মুক্তি দেন।