চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ সারা দেশের মতো এবার যশোরেও অন্যরকমভাবে উদযাপন হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ইদুল ফিতর। ইদের জামাত সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে বৃদ্ধ ও শিশুদের উপস্থিতি অন্য বছরের ইদ জামাতের মতো ছিল না বললেই চলে। ছিল না নামাজ শেষে অতি পরিচিত কোলাকুলির দৃশ্য। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এবার ইদের জামাত আদায় করা হয় মসজিদে। এরই ধারাবাহিকতায় যশোরে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজ আদায়ের আগে মুসল্লিরা নিজেদের জায়নামাজ সাথে নিয়ে আসেন পাশাপাশি জীবাণুমুক্ত হয়ে মসজিদে প্রবেশ করেন। এরপর তারা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সারিবদ্ধ হয়ে বসেন। খুতবা শোনেন এবং নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে করোনা থেকে আল্লাহর কাছে মুক্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজ শেষে মুসল্লিরা দ্রুত মসজিদ ত্যাগ করেন। এ সময় চিরপরিচিত কোলাকুলির দৃশ্য চোখে পড়েনি। প্রথম জামাতের পর মসজিদে দ্বিতীয় জামাতের জন্য জীবাণুনাশক ছিটিয়ে মসজিদ জীবাণুমুক্ত করা হয়।
যশোর কালেক্টরেট মসজিদে গিয়ে দেখা যায় একই দৃশ্য। এখানে নামাজ আদায় করেন জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। নামাজ শেষে জেলা প্রশাসক বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে মসজিদে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করেছি। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এই সময় ধৈর্য ধারণের বিকল্প নেই। আস্তে আস্তে হয়তো শিথিলতা আসবে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমাদের জীবন যাপন করতে হবে। তবে বরাবরের চেয়ে উল্টো ছিল যশোর ইদগাহ ময়দান। ছিল না নামাজের কোনো আয়োজন। মুসল্লিদের আনাগোনা না থাকায় ছিল নিষ্প্রাণ।