যশোর প্রতিনিধিঃ যশোরে যাত্রীবাহী বাসে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার (১০/১০/২০২০ তারিখ) গভীর রাতে ওই তরুণীকে উদ্ধারের পর যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মনির নামের এক পরিবহন শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে বাসটি।
ভুক্তভোগী তরুণী জানিয়েছে, বৃহসপতিবার বিকেলে ওই তরুণী রাজশাহীর বহদ্দার মোড় থেকে এমকে পরিবহনের একটি বাসে করে যশোর আসছিলো। পথিমধ্যে বাসের সুপারভাইজার তাকে একটি জুস খেতে দেয়। এরপরই সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এক পর্যায়ে ওই তরুণী টের পায়, সে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। তরুণীর দাবি, বাসটির হেলপার ও সুপারভাইজার তাকে ধর্ষণ করেছে।
ওই তরুণী প্রায়ই মনিরের বাসে করে রাজশাহী যাওয়া-আসা করতো। গতকাল ০৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে সময়মত পৌঁছুতে না পারায় মনিরের বাসটি আগেই ছেড়ে আসে। পরে ওই তরুণী এমকে পরিবহনের একটি বাসে করে যশোর মনিহার বাস টার্মিনাল এলাকায় আসে। রাত এগারটারদিকে সেখানে সে মনিরের সাথে যোগাযোগ করে। পরে মনির তাকে বাসে করে মুড়লী এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন বখাটে তাদেরকে আটক করে ছবি তোলে ও ভিডিও করে।
যশোর কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনার সময় পুলিশের একটি টহল দল বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে অভিযান চালায়। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অভিযান চালিয়ে মনিরকে আটক করে তারা। এ ব্যাপারে যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান মি. মনিরুজ্জামান। এছাড়াও ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
যশোর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদ হাসান হিমেল জানান, বর্তমানে ওই তরুণীর শারীরিক অবস্থা ভালো আছে।
সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মো. আরিফ আহম্মেদ জানান, ইতোমধ্যেই গাইনী ডাক্তারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ভিকটিমের আলামত সংগ্রহের জন্য। প্রতিবেদন আসার পরেই এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।